২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৫৬:০৬ অপরাহ্ন
আমি ঘটনার কিছু বিষয় প্রকাশ্যে বলতে চাচ্ছি না: সাক্ষ্য দিতে গিয়ে পরীমণি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৭-২০২৩
আমি ঘটনার কিছু বিষয় প্রকাশ্যে বলতে চাচ্ছি না: সাক্ষ্য দিতে গিয়ে পরীমণি

শ্লীলতাহানি ও মারধরের মামলায় আংশিক সাক্ষ্য দিয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। আজ সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৯-এ পরীমণি হাজির হয়ে জবানবন্দি দেন। বাকি সাক্ষ্য গ্রহণ হবে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর ক্যামেরা ট্রায়ালে। বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকা আজ পরীমণির জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। 


সাক্ষ্য দেওয়ার একপর্যায়ে পরীমণি আদালতকে বলেন, ‘আমি ঘটনার কিছু বিষয় প্রকাশ্যে বলতে চাচ্ছি না।’ তখন বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি ক্যামেরা ট্রায়াল করতে চান?’ 

এরপর পরীমণির আইনজীবী ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। সেদিন ক্যামেরা ট্রায়ালে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ হবে। 


পরীমণির আইনজীবী নীলঞ্জনা সুরভী রিফাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওপেন কোর্টে পরীমণি কিছু কথা বলতে পারছিলেন না। এ কারণেই ক্যামেরা ট্রায়াল প্রয়োজন। তাই ট্রাইব্যুনাল-পরবর্তী তারিখে ক্যামেরা ট্রায়ালে বিচার করবেন বলে জানিয়েছেন। 


এর আগে ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর পরীমণি আংশিক সাক্ষ্য দেন। ওই দিন অসুস্থতার কারণে পরীমণির সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়নি। 


গত বছর ১৮ মে নাসিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে একই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করেন। ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। 


২০২১ সালের ১৪ জুন উত্তরা ক্লাব লিমিটেডের সাবেক সভাপতি রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসির উদ্দিন মাহমুদ তাঁর সহযোগী তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন পরীমণি। বাকি চারজন অজ্ঞাতনামা। মামলার এজাহারে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়।


সেদিনই উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরের একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাসির ও অমিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা আরও একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।


শেয়ার করুন