০২ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০২:৫৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
শিবগঞ্জে মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৭-২০২৩
শিবগঞ্জে মাদ্রাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বাগবাড়ি মিয়াপুর দাখিল মাদ্রাসায় গোপনে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন। মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি মাইনুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসার সুপার আতাউর রহমান ও সভাপতি সাহাবুদ্দিনের যোগসাজসে গোপনে একটি অপ্রচলিত পত্রিকায় অফিস সহকারী ও নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শুধু মাত্র তাদের মনোনিত কয়েকজন প্রার্থীকে আবেদন করান। তাদের মধ্যে বাগবাড়ি মিয়াপুর এলাকার রশিদ মহরালের ছেলে আবদুর রাজ্জাকের নিকট হতে অফিস সহায়ক পদের নিয়োগ দানের জন্য ১৬ লাখ টাকা ও নামো চাকপাড়ার জনৈক ব্যক্তির নিকট হতে নৈশ প্রহরী পদের জন্য ১১ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে জেনেছি। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় সোনালী ব্যাংক সোনামসজিদ শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছে আমরা জানতে পেরেছি। উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও দানিয়ালগাছী গ্রামের বাসিন্দা নাহিদ উদ্দিন জানান, মাদ্রাসার সুপার ও সভাপতি যোগসাজসে মোটা অংকের বিনিময়ে জামায়াতের ক্যাডার সমর্থিত দুজনকে নিয়োগ দিতে পায়তারা করছেন। অবিলম্বে অবৈধভাবে নিয়োগ বন্ধের দাবি জানান তিনি। এর আগেও সুপারের যোগসাজসে সাম্প্রতিককালে বিদ্যুৎসাহী সদস্য মাহিদুর রহমানের মাধ্যমে আজিজের ছেলে গাফফারের নিকট হতে ৯০ হাজার টাকা নিয়ে নিয়োগ দিতে না পারায় কিছুদিন পর ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন। এখনো ৩০ হাজার টাকা পাবে। শুধু এ দুজনই নয়, এলাকার রুহুল, রব্বুল, ইসমাইল সাব্বুলসহ প্রায় ২৫-৩০ জন ব্যক্তি একই ধরণের অভিযোগ করেন। তারা বলেন, প্রয়োজন হলে আন্দোলন করবো। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর পিতা আজিজুর রহমান বলেন, টাকা দিয়েছিলাম সত্যি। কিন্তু অনেকদিন পর্যন্ত নিয়োগের কিছু বুঝতে না পেরে টাকা ফেরত চাইলে কয়েক দফায় ৬০হ াজার টাকা দিয়েছেন। আরো প্রায় ২৮-৩০ হাজার টাকা পাবো। তবে বিদ্যুৎসাহী সদস্য মাহিদুর রহমান টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় কোন নিউজ হলে আজিজ ও আজিজের ছেলে গাফফারের খবর আছে। অন্যদিকে রশিদ মহারালের ছেলে আবদুর রাজ্জাক মাদ্রাসায় আবেদনও টাকা লেনদেনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে মাদ্রাসার সুপার আতাউর রহমান টাকা লেনদেনসহ সম্পূর্ণ বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, পদ দুটি শূন্যের ব্যাপারে সভাপতিসহ কমিটিকে জানানো হয়েছে। তারা কোন নির্দেশনা না দেয়ায় নিয়োগের কোন প্রক্রিয়া শুরু করতে পারেনি। অন্যদিকে সভাপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, নিয়োগের ব্যাপারে কোন বিজ্ঞপ্তি হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই বলে মিটিংয়ে আছি বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের একাডেমিক সুপাইভাইজার মুরশিদুল আলম জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করলে যৌথভাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল হায়াত বলেন, বিষয়টি জেনেছি, লিখিত অভিযোগ পেলেই অবৈধ নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করা হবে।


শেয়ার করুন