গত বছর তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ। আগের মতোই প্রথম অবস্থানে চীন। তৃতীয় ভিয়েতনাম। ২০২২ সালে বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের হিস্যাও বেড়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিভিউ ২০২৩’ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে। গত সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
২০২১ সালে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে হারানো মুকুট ফিরে পায় বাংলাদেশ। ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ আবারও দ্বিতীয় শীর্ষস্থানে চলে আসে। এর আগে ২০২০ সালে করোনাকালে বাংলাদেশকে টপকে দ্বিতীয় স্থানটি দখল করে নিয়েছিল ভিয়েতনাম।
ডব্লিউটিওর পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২২ সালে তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির পরিমাণ প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের তুলনায় এটি বেড়েছে ২৭ শতাংশ। অন্যদিকে গত বছর ভিয়েতনামের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের।
ডব্লিউটিওর প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখে যায়, গত বছর বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের হিস্যা বেশ খানিকটা বেড়েছে। ২০২২ সালে বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের হিস্যা ছিল ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। ২০২১ সালে এ হার ছিল ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর আগে ২০২০ সালে ৬ দশমিক ৩০ ও ২০১৯ সালে ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ ছিল এ হার।
তৈরি পোশাক রপ্তানির বিশ্ববাজারে গত বছর বাংলাদেশের মতো ভিয়েতনামের হিস্যাও খানিকটা বেড়েছে। বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানিতে তাদের অংশ দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১০ শতাংশ। ২০২১ সালে যা ছিল ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
বরাবরের মতো চীনের তৈরি পোশাক রপ্তানিই সবচেয়ে বেশি। গত বছর ১৮২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে দেশটি। যদিও গত বছর পোশাক রপ্তানির বাজারে তাদের অংশ কিছুটা কমে হয়েছে ৩১ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০২১ সালে যা ছিল ৩২ দশমিক ৮০ শতাংশ।
একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও জোটগতভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বৈশ্বিক পোশাক রপ্তানির বাজারে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সে হিসাবে বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের তৃতীয় সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক, চতুর্থ ভিয়েতনাম। অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোন দেশ কী পরিমাণ রপ্তানি করেছে তা উল্লেখ করা হয়নি বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রতিবেদনে।
অন্য দেশগুলোর মধ্যে গত বছর তুরস্ক ২০ বিলিয়ন, ভারত ১৮ বিলিয়ন, ইন্দোনেশিয়া ১০ বিলিয়ন, কম্বোডিয়া ও পাকিস্তান ৯ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে।