আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য প্রাথমিকভাবে ৬৮ দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাকে চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে দাবি, আপত্তি, অভিযোগের বিষয়ে ১৫ দিনের সময় দিয়ে বুধবার গণবিজ্ঞপ্তি জারি করবে ইসি। পরে দাবি বা আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত ভাবে পর্যবেক্ষণ সংস্থা হিসেবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য অন্তর্ভুক্ত করবে ইসি।
ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) আশাদুল হক স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তি বুধবার গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হবে। পাশাপাশি ইসির ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হবে। ইসি সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা হিসেবে নিবন্ধনের জন্য দেশের ২০৬টি বেসরকারি সংস্থা ইসিতে আবেদন করে। পরে ইসির গঠন করা সাত সদস্যের একটি কমিটি আবেদনগুলো প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করে ৬৮টি সংস্থাকে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে।
সর্বশেষ ১১৮টি সংস্থা ইসির নিবন্ধন ছিল। যাদের পাঁচ বছরের মেয়াদ গত ১১ জুলাই শেষ হয়েছে। এবার আবেদন করা সংস্থার মধ্যে ৪০টি রয়েছে, যারা আগে নিবন্ধিত ছিল। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে স্থানীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধনের পদ্ধতি চালু করা হয়। বিষয়টি জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে সংযোজন করা হয় এবং ইসি একটি স্থানীয় পর্যবেক্ষক নীতিমালা তৈরি করে।
এর আগে ২০০৮ সালে প্রথমবারের মতো ১৩৮টি সংস্থাকে পর্যবেক্ষক হিসেবে নিবন্ধন দিয়েছিল ইসি। এর মধ্যে ৭৫টি সংস্থার ১ লাখ ৫৯ হাজার ১১৩ জন পর্যবেক্ষক নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
তবে এর আগেও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সুযোগ পেতেন। অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্থানীয় ৬৯টি সংস্থার ২ লাখ ১৮ হাজার পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছিলেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ছিল ৮১টি দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থা।