২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০২:০০:২৭ অপরাহ্ন
মৎস্য খাতে যোগ হলো জিথ্রি রুই
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৮-২০২৩
মৎস্য খাতে যোগ হলো জিথ্রি রুই

‘সুবর্ণ রুই’ উদ্ভাবন করে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। এর সঙ্গে যুক্ত হলো ওয়ার্ল্ডফিশ উদ্ভাবিত জিথ্রি রুই। কার্প জাতীয় এই মাছ মৎস্য খাতে নতুন দিগন্ত খুলবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।


ময়মনসিংহে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে গতকাল মঙ্গলবার এক কর্মশালায় জিথ্রি রুই হস্তান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ ওয়ার্ল্ডফিশ অ্যাকুয়াটিক ফুড বায়োসায়েন্সেসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. জন বেঞ্জির কাছ থেকে জিথ্রি রুই মাছের পোনা গ্রহণ করেন।


ওয়ার্ল্ডফিশের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. বিনয় কুমার বর্মন, ২০২০-২০২১ সালে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে তৃতীয় প্রজন্মের বা জিথ্রি রুই উদ্ভাবন করে ওয়ার্ল্ডফিশ। যশোর, নাটোর-রাজশাহী অঞ্চলে পরিচালিত ফিল্ড ট্রায়ালে দেখা গেছে, প্রচলিত রুইয়ের চেয়ে ৩৭ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে জিথ্রি রুই।


কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর বাংলাদেশের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক। নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত ২০৪১ সালে ৮৬ লাখ টন মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চাষের মাছের বিকল্প নেই। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ওয়ার্ল্ডফিশ উদ্ভাবিত জিথ্রি রুই এবং বিএফআরআই’র সুবর্ণ রুই বিশেষ ভূমিকা রাখবে।


কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেন, ‘বিএফআরআই দেশি মাছের জাত উন্নয়নে এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। রুই মাছের জাত উন্নয়নেও আমাদের গবেষণা চলছে। আপনারা জানেন, আমরা চতুর্থ প্রজন্মের ’সুবর্ণ রুই’ উদ্ভাবন করেছি। ওয়ার্ল্ডফিশ উদ্ভাবিত জিথ্রি রুইও সুবর্ণ রুইয়ের পাশাপাশি দেশের মৎস্য খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’


কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন ফিড দ্য ফিউচার ফিশ ইনোভেশন ল্যাবের এশিয়া রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর ড. এম গোলাম হোসেন, ওয়ার্ল্ডফিশের সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ম্যাথিও হ্যামিলটন প্রমুখ।


শেয়ার করুন