২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৭:০৪:০৭ অপরাহ্ন
দ.কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মহড়ার আগে আরো ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নির্দেশ দিলেন কিম
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৮-২০২৩
দ.কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মহড়ার আগে আরো ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির নির্দেশ দিলেন কিম

‘অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তি সুরক্ষিত’ করতে এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন বৃদ্ধির আদেশ দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ বলেছে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্ষিক সামরিক মহড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। 


রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার এবং শনিবার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ প্ল্যাটফর্ম, সাঁজোয়া যান এবং আর্টিলারি শেল তৈরি মূল অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করার সময় কিম এই আদেশ দেন। 


প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক সামরিক মহড়া শুরু করার কয়েক দিন আগে অস্ত্র কারখানায় পরিদর্শনে করে তিনি অস্ত্র উৎপাদনের নির্দেশ দিয়েছেন। যেটিকে পিয়ংইয়ং যুদ্ধের মহড়া হিসেবে দেখছে। 


রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ বলেছে, সামরিক ইউনিটগুলির চাহিদা মেটাতে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করাকে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন কিম। 

 

অস্ত্র কারখানায় পরিদর্শনে গিয়ে কিম বলেছেন, যুদ্ধের প্রস্তুতির গুণগত স্তরগুলি যুদ্ধাস্ত্র শিল্পের বিকাশের ওপর নির্ভর করে। আমাদের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধ প্রস্তুতিকে ত্বরান্বিত করার জন্য কারখানাটির অনেক দায়িত্ব। 

 

কিম কমব্যাট সাঁজোয়া যান পরিদর্শন করেছেন। কারখানা আধুনিকীকরণে সাম্প্রতিক অগ্রগতির প্রশংসাও করেছেন কিম জং উন। 


কিম বলেছেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীকে অবশ্যই অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তি এবং যেকোনো সময় যেকোনো যুদ্ধ পরিচালনার জন্য দৃঢ় প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে, যাতে শত্রুরা শক্তি প্রয়োগ করার সাহস না পায়। যদি তা করে তাহলে শত্রুকে ধ্বংস করা হবে। "


আজ সোমবার দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির প্রতিক্রিয়া জানাতে গ্রীষ্মকালীন অনুশীলন করবে। 


এদিকে উত্তর কোরিয়া মিত্রদের সামরিক মহড়াকে পারমাণবিক যুদ্ধের মহড়া বলে নিন্দা করেছে। 


দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিপ অফ স্টাফের মতে, এই বছরের মহড়া এখন পর্যন্ত সর্ববৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত হবে, উভয় পক্ষের হাজার হাজার সৈন্য, পাশাপাশি জাতিসংঘ কমান্ডের কিছু সদস্য রাষ্ট্র প্রায় ৩০টি ফিল্ড ট্রেনিং প্রোগ্রামের জন্য একত্রিত হবে। 


জেসিএস মুখপাত্র কর্নেল লি সুং-জুন বলেছেন, জরুরি পরিস্থিতিতে শক্তিশালী সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ভঙ্গি বজায় রাখার জন্য মহড়া একটি অপরিহার্য উপাদান। উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান সামরিক হুমকির প্রতিক্রিয়া জানাতে এটা একেবারে প্রয়োজনীয়। "


শেয়ার করুন