ভারতের হিমাচল প্রদেশে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০ জনে। প্রবল পানির স্রোতে আরও ৭ জন ভেসে যাওয়ার পরপরই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বিষয়টি জানিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক ভিডিও ক্লিপে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চেষ্টায় উদ্ধার, অনুসন্ধান এবং ত্রাণ কর্মসূচি চালু রয়েছে। তিনি বলেন, বিগত দুই দিনের ভারী বর্ষণ এবং ভূমিধসের কারণে ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ভিডিওটিতে মান্দি জেলার সাম্বাল গ্রামের বন্যা পরিস্থিতি দেখানো হয়।
ভিডিও সঙ্গে শেয়ার করা টুইটে সুখবিন্দর সিং বলেন, ‘আমরা মান্দি জেলার সাম্বাল, পাদোঁহ গ্রাম থেকে দুঃখজনক সংবাদ পেয়েছি। সেখানে আকস্মিক বন্যায় ৭ জন ভেসে গেছেন। ভয়াবহ এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের চেষ্টায় উদ্ধার, অনুসন্ধান এবং ত্রাণ কর্মসূচি চালু রয়েছে।’
এর আগে ভারী বর্ষণে পৃথক দুটি ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে সোলান জেলায় বজ্রপাতে ৭ জন মারা গেছেন। অপরদিকে শিমলা শহরের ‘সামার হিল’ এলাকায় একটি শিব মন্দিরে ভূমিধসে নয়জন মারা গেছে।
এদিকে সিমলার ডেপুটি কমিশনার আদিত্য নেগি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, শিমলা শহরে দুটি ভূমিধসে ১৫ থেকে ২০ জন লোক চাপা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্য সাইটটি ফাগলি এলাকায়, যেখানে বেশ কিছু বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়েছে।
রাজ্যর মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু জনগণকে বাড়ির ভেতরে থাকার এবং ড্রেন বা নদীর ধারে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এনডিটিভির সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জনগণকে ভূমিধস প্রবণ এলাকাগুলি থেকে দূরে সরে যেতে বলেছেন। পাশাপাশি এই সংকটের সময় পর্যটকদের রাজ্যে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সোলানের কান্দাঘাট মহকুমার মামলিগ গ্রামে বজ্রপাতের পর ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি বাড়ি এবং একটি গোয়ালঘর ভেসে গেছে।
হিমাচলের জরুরি অপারেশন সেন্টারের মতে, বিপর্যয়ের কারণে রাজ্যে ৭৫২টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ আজ সোমবার জানিয়েছে, হিমাচলের পাশের রাজ্য উত্তরাখণ্ডেও পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
গতকাল রোববার হিমাচলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যা ও ভূমিধসে ভারতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হিমাচল। এর পরিমাণ ৭ লাখ ২০ হাজার কোটি রুপি।