মানবতাবিরোধী অপরাধে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ায় যশোর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁকে স্থায়ী বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে সুপারিশ করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লব স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি শুক্রবার গভীর রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংগঠনের নীতি ও আদর্শবিরোধী কাজে জড়িত থাকায় তাঁকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে স্থায়ী বহিষ্কারের অনুরোধ করা হয়েছে। তবে সুনির্দিষ্ট কী কারণে মারুফ হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে জেলা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পরে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মারুফ হোসেন তাঁর ফেসবুকে সাঈদীর ছবিসংবলিত সংবাদ কার্ড শেয়ার করেন। একই সঙ্গে তাঁর মাগফিরাত কামনা করেন। এরপর থেকে যশোর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের নেতার পোস্টটি স্কিনশর্ট দিয়ে সমালোচনা ও বহিষ্কারের দাবি তোলেন। তবে কয়েক ঘণ্টা পর ছাত্রলীগের নেতা মারুফ আবার সেই পোস্ট মুছে ফেলেন। এ ছাড়া মারুফের বিরুদ্ধে গাঁজা ও ইয়াবা সেবনের অভিযোগ ওঠে। চলতি বছরে মাদকদ্রব্য সেবনের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা মারুফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ১৩ আগস্ট আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়। পরে আমার বন্ধুরা জানান, হ্যাককৃত আইডি থেকেই সাঈদীকে নিয়ে একটা পোস্ট হয়েছে। গতকাল রাতে আমার আইডিটা ফিরে পেয়েছি। এ বিষয়ে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডিও করেছি।’
মাদক সেবনের অভিযোগে মারুফ বলেন, ওগুলো এডিট করা। যারা ছাত্রলীগ করে, তারা কখনো মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে পারে না।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বলেন, সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে।