২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:০৪:৫২ অপরাহ্ন
বেসরকারি স্কুলের ২৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৮-২০২৩
বেসরকারি স্কুলের ২৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত

বেসরকারি স্কুলের জন্য ২৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আজ রোববার প্রস্তুতকৃত তালিকা প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য আবেদন জানানোর কথা রয়েছে। সূত্র জানায়, দেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন করা হতে পারে। যদিও চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্তদের চূড়ান্ত সুপারিশ নিয়ে আইনি জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটারের মতামত চেয়েছিল এনটিআরসিএ। সম্প্রতি সলিসিটরের মতামত লিখিত আকারে এনটিআরসিএতে এসে পৌঁছেছে। এখন দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রার্থীদের নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে চায় সংস্থাটি।


এনটিআরসিএ’র শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান শাখার এক কর্মকর্তা জানান, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে একজন প্রার্থী নিয়োগে মেধাক্রম মানা হয়নি মর্মে আদালতে রিট করেছিলেন। সেই রিটের বিষয়ে করণীয় জানতেই মূলত সলিসিটরের মতামত চাওয়া হয়েছিল। আমরা মতামত পেয়েছি। রিটকারী ব্যক্তি ছাড়া বাকিদের চূড়ান্ত সুপারিশে কোনো সমস্যা নেই। সূত্র জানায়, আজ রোববার এনটিআরসিএ’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা চূড়ান্ত সুপারিশের অনুমতির জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবেন। মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন শিক্ষকদের নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে। ইতোমধ্যে সুপারিশপত্র তৈরি করে তা ওয়েবসাইটে সংরক্ষণ করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, সারা দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা এবং কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৬৮ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনটিআরসিএ। তবে যোগ্য প্রার্থী না থাকায় প্রাথমিকভাবে নিয়োগের জন্য ৩২ হজার ৪০০-এর অধিক প্রার্থীকে সুপারিশ করা হয়। পরবর্তী এসব প্রার্থী প্রথমবারের মতো অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করেন।

প্রার্থীদের পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে অনেক সময়ের প্রয়োজন হওয়ায় ভেরিফিকেশন চলমান রেখেই নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশের উদ্যোগ নিয়েছে এনটিআরসিএ। এ জন্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুমতি চাইবে সংস্থাটি। এর আগে তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতেও একই প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।


এনটিআরসিএ সচিব মো: ওবায়দুর রহমান জানান, আইনি জটিলতা নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষা। আজ রোববার আমরা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাইব। অনুমতি দিলেই যেকোনো দিন ফল প্রকাশ করতে পারব। সেটি চলতি সপ্তাহেই সম্ভব।


সূত্র আরো জানায়, চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর। প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয় ২০২৩ সালের ১২ মার্চ। ৩২ হাজার ৪৩৮ জন প্রার্থীকে প্রাথমিকভাবে সুপারিশ করা হয়। এর পর প্রথম থেকে পঞ্চম নিবন্ধন প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই, আইসিটি পদের প্রার্থীদের সনদ যাচাই, সহকারী মৌলভি প্রার্থীদের সনদ ও শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই, সহকারী মৌলভী ও আইসিটি পদ ব্যতীত অবশিষ্ট প্রার্থীদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যাচাই, অনলাইন পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম দাখিল করার সময় বৃদ্ধি করা হয়।


পরবর্তী সময়ে ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই অনলাইনে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ আবেদন নেয়া শেষ হওয়ার পরেও ৯০০-এর বেশি প্রার্থী পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণে ভুল করায়, আবারো সময় বাড়ানোর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। অবশ্য এ বিষয়ে শিক্ষকরা জানান, একটি নিবন্ধন পরীক্ষা ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি শেষ করে চূড়ান্ত শিক্ষক নিয়োগ, এরপর প্রতিষ্ঠানের যোগদান ও এমপিওভুক্ত হতে একজন চাকরিপ্রার্থীর পাঁচ থেকে ছয় বছর লেগে যায়। এর মধ্যে প্রাথমিক সুপারিশের পরও যদি পাঁচ-ছয় মাস লেগে যায় তাহলে চূড়ান্ত সুপারিশ পেতে তখন নিয়োগের প্রক্রিয়া আরো দীর্ঘ হয়।


শেয়ার করুন