২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৮:০৪:০৯ পূর্বাহ্ন
ধামইরহাটে ২২ জনকে কুকুরের কামড়, ভ্যাকসিন নেই উপজেলায়
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৮-২০২৩
ধামইরহাটে ২২ জনকে কুকুরের কামড়, ভ্যাকসিন নেই উপজেলায়

কুকুরের কামড়ে দুই শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। স্বজনেরা তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভ্যাকসিন নিতে চাইলে ‘স্টক শেষ’ হয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। পরে বাইরের দোকান থেকে ভ্যাকসিন কিনে আনতে হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বজনেরা। 


গতকাল রোববার সকালে উপজেলা সদর বাজার ও হাটখোলা এলাকায় শিশুদের কামড় দেয় কুকুরটি। 


আহত দুই শিশু হলো উপজেলার ৭ নম্বর ওয়ার্ড হাটখোলা এলাকার আবু সুফিয়ানের ছেলে সাদিক সাদমান (৪) ও অমরপুর চন্ডিপুর এলাকার জনির ছেলে সিয়াম (৮)। 


প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেওয়ারিশ (পাগলা) পুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। রাস্তায় হঠাৎ করেই বিভিন্ন বয়সের মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে কুকুরগুলো। এতে সবচেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শিশুরা। 


উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ৩ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত উপজেলার ২২ জনকে কুকুরে কামড়ানো ও ৭ জনকে বিড়ালের আঁচড় বা কামড়ানো ব্যক্তি সেবা নিয়েছেন। সকলেই ভ্যাকসিন নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। 


কিন্তু ভ্যাকসিন না থাকার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা স্বপন কুমার বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের স্টকে ২০০ পিস ভ্যাকসিন ছিল। কুকুর, বিড়াল ও শিয়ালের আক্রমণে এ পর্যন্ত ২০০ ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কবে আসবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।’ 


আহত শিশু সাদমানের বাবা আবু সুফিয়ান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বাড়ির বাইরে খেলাধুলা করছিল আমার ছেলে সাদিক। হঠাৎ করে একটি কুকুর এসে ওর দুই পায়ের ঊরুতে কামড় দিয়ে মাংস ছিঁড়ে অনেকখানি গর্ত করে ফেলে। পরে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভ্যাকসিন দিতে চাই। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানায় সেখানে ভ্যাকসিন শেষ। পরে অনেক কষ্টে, অনেক দাম দিয়ে, বাইরে থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে।’ 


তাঁর অভিযোগ, এ পর্যন্ত অনেকেই কুকুর-বিড়ালের কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বলছে ভ্যাকসিন শেষ হয়ে গেছে। তাহলে এখনো কেন কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এই সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি না থাকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা বলে মন্তব্য করেন তিনি। 


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম জানান, কুকুরের আক্রমণের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান 

শেয়ার করুন