২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১২:৫০:৫৯ অপরাহ্ন
মামলাবাজ নারীর হয়রানি থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগিদের আকুতি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৮-২০২৩
মামলাবাজ নারীর হয়রানি থেকে বাঁচতে ভুক্তভোগিদের আকুতি

মামলাবাজ নারী লাবনী আক্তার শিল্পীর মিথ্যা মামলা, হয়রানি থেকে রেহায় পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার। এছাড়াও সঠিক সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক সানশাইন পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল পদ্মাটাইমসের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলারও প্রতিবাদ জানান তারা।


সোমবার দুপুরে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের হল রুমে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। একে ভূক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনার সাইদ হাসান।


লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত কয়েক মাস থেকে পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বায়া বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে উত্তেজনা চলছে। যারা হামলা চালিয়েছে তারা মূলত বাড়ি পোড়ানো ঘটনার মামলাসহ অন্যান্য মামলার আসামি। এর আগে বিভিন্ন সময় আমাদের নামে থানায় মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ করেছে, যেটা থানার তদন্ত রিপোর্টে মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের এলাকার জমি নিয়ে সত্য সংবাদ প্রকাশের জেরে তিনি ঢাকার মহানগর আদালতে দৈনিক সানশাইন পত্রিকার সম্পাদক ও পদ্মাটাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকমের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন।


এছাড়াও রোববার (২০ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে, তা সম্পন্ন মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও মনগড়া কথা। লাবনী আক্তার শিল্পী একজন মামলাবাজ নারী। তিনি তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের দিয়ে রাতে অন্ধকারে পেট্রোল বোমা দিয়ে আমার চাচার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। তিনি কারণে অকারণে মানুষকে ফাঁসানো ও হয়রানী করার জন্য বিভিন্ন মামলা দিয়ে থাকেন। তিনি এলাকার বেশকিছু নারীকে ফুঁসলিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছেন।


রোববার সংবাদ সম্মেলনে যে জমির বায়নার কথা বলেছেন, তা সম্পন্ন মিথ্যা কথা। আমাদের পরিবারে এখন পর্যন্ত জমির ভাগবাটোয়ারা করা হয়নি। সে আমার ফুপু রাহেমা বেগমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক জমিতে থাকা ১৫টি পেয়ারা গাছ এবং ৩০টি কলা গাছ কেটে জমি দখল করেছে। এই বিষয়ে একটি মামলা করা হয়েছে। এনিয়ে বেশ কয়েকবার স্থানীয়ভাবে এয়ারপোর্ট থানায় ও পৌরসভার মেয়রের কাছে সালিশ হয়েছে।


গত বৃহস্পতিবারে এলাকায় এসে তিনি শহর থেকে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে আসেন আমাকে ও আমার পরিবারের উপর হামলা করতে। কিন্তু আমরা বাড়িতে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যায়। আবার শুক্রবারে তিনি ওই সন্ত্রাসীদের নিয়ে আসেন। কিন্তু আমরা তখনও এলাকার বাইরে অবস্থান করছিলাম। রাতে সবাই ফিরে আসার পর রাত পৌনে ১২টার দিকে আমার চাচা মো. নাজিম উদ্দিনের বাড়িতে পেট্রোল বোমা দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।


লাবনী আক্তার শিল্পী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে এই আগুন লাগিয়েছে। পুলিশ সময় মত না আসলে সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে ফেলতো। বাড়ি পোড়ানোর আগের দিন শিল্পী বায়া বাজারে এসে প্রকাশ্যে বাড়ি পোড়ানোর ও আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।


রোববারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার ১৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা লুট, বাড়িঘরে ভাংচুর ও হামলার যে অভিযোগ দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তিনি রাজশাহীর স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও ঢাকা থেকে এসে বিভিন্ন নাটক সাজিয়ে আমাদের উপরেই অত্যাচার চালায়।


এর আগেও বর্ণালীর মোড়ে রনির চায়ের দোকানের সামনে আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে তার ভাড়া করা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হামলা চালায়। তারা আমাতে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছিল। প্রায় এক মাস রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। এই ঘটনায় কোর্টে একটি মামলা চলমান রয়েছে।


এছাড়া শুক্রবার বাড়ি পোড়ানোর ঘটনায় আমার চাচা নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানা মামলা করেছেন। ভূক্তভোগী পরিবার তাদের এসব অত্যাচারের বিচারের দাবি জানান।


এসব অভিযোগের বিষয়ে লাবনী আক্তার শিল্পীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে কল রিসিভ না করায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূক্তভোগী পরিবারের মধ্যে আয়নাল হক, মোস্তাফিজ রহমান লিটন, রেখা বেগম, নাজিম আলীসহ অন্যান্যরা।

শেয়ার করুন