২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১০:০১:৪০ অপরাহ্ন
‘কিক’ না থাকলেও ফিট সাকিব
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৮-২০২৩
‘কিক’ না থাকলেও ফিট সাকিব

বনশ্রী লিংক রোডের শুটিং স্টুডিওর সামনে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের ভিড় দেখে এলাকাবাসী একটু অবাক চোখে দেখতে লাগলেন। ক্রীড়া সাংবাদিকদের শুটিং স্পট কাভার করা কোনো নায়ক-নায়িকার জন্য নয়। এখানে সাকিব আল হাসান এসেছেন এক মোবাইল ফােন কোম্পানির বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে। 


বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর সাকিব এলেন সংবাদমাধ্যমের সামনে। লাল-সবুজ জার্সি হলেও সেটির নাম্বার তাঁর বিখ্যাত ‘৭৫’ নয়; ‘৬৭’। সামনে বাংলাদেশের নাম নয়, লেখা ‘ফাস্ট অ্যাজ লাইটিং’। লোগোও বিসিবির নয়। সাকিবের গায়ে আসলে শুটিংয়ের পোশাক। সাংবাদিকদের একটু ‘সময়’ দিতে এসেই জানিয়ে রাখলেন, ক্রিকেট নিয়ে কথা বলবেন মাঠে গিয়ে। সাকিব কথা বলছেন, আর সেখানে ক্রিকেট থাকবে না, তা কি হয়? 


২০১৯ বিশ্বকাপ সামনে রেখে সাকিব অন্তত ৬ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন। সাকিব নিজের ফিটনেস আর প্রস্তুতির ব্যাখ্যায় উদাহরণ হিসেবে সামনে এনেছিলেন সালমান খানের ‘কিক’ সিনেমা। সিনেমায় নিজেকে জাগাতে সাল্লু ভাইয়ের ‘কিক’ দরকার পড়ত। সাকিব তেমন এক ‘কিক’ অনুভব করেছিলেন তখন। আর সেটির ফলও পেয়েছিলেন দারুণ। ২০১৯ বিশ্বকাপটা গিয়েছিল তাঁর স্বপ্নের মতো। দল ভালো না করলেও সাকিবের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত। ৮ ইনিংসে ৮৬.৫৭ গড়ে ৯৬.০৩ স্ট্রাইকরেটে করেন ৬০৬ রান। 


আরেকটি বিশ্বকাপ দুয়ারে। এবার তিনি বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন অধিনায়ক হয়ে। ৩৬ বছর বয়সী অলরাউন্ডারের এই বিশ্বকাপটি হতে পারে শেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। শেষটি রাঙাতে ২০১৯ বিশ্বকাপের মতো কোনো ‘কিক’ কি অনুভব করছেন সাকিব? হাসলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘না, ওরকম কিছু নেই।’ ২০১৯ সালের মতো একবারে ৬ কেজি ওজন কমানোর মতো না হলেও ফিটনেস ঠিক রাখতে সবই করছেন সাকিব। কদিন আগে ব্যক্তিগত ট্রেনার দেবাশীষ ঘোষকে শ্রীলঙ্কায় নিয়ে যাওয়া তাঁর সে উদ্দেশেই। 


শুধু বিশ্বকাপ নয়, সাকিবকে ফিট থাকতে হচ্ছে সামনের ব্যস্ত সূচির কারণেই। বললেন, ‘শুধু চেষ্টা করছি ফিট থাকতে, যেহেতু সামনে দুই-তিনটা গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ-টুর্নামেন্ট আছে। প্রচুর খেলা আছে। চোটে পড়ার ঝুঁকি থাকে। এখানে নিজেকে ফিট রাখা জরুরি।’ কানাডা ও শ্রীলঙ্কায় টানা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলার পর দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন। এক মাসের বেশি সময় পর গত পরশু সন্ধ্যায় দেশে ফিরেছেন সাকিব। ফিরে এক দণ্ড বিশ্রাম নেই তাঁর। গতকাল সকালে হেলিকপ্টারে করে চলে গেছেন বরিশালে। সেখান থেকে বিকেলে ঢাকায় ফিরেই সাকিব ব্যস্ত হয়ে পড়েন শুটিংয়ের কাজে। এত দৌড়াদৌড়ির মধ্যে কীভাবে পারেন এত সবকিছু ম্যানেজ করতে?


‘পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের এগুলো ম্যানেজ করেই চলতে হয়। অল্প সময়ের মধ্যে সবকিছু সামলানোর পথ তো বের করাই লাগে। একটু ব্যস্ততা থাকে। তবে ভালোই লাগে ব্যস্ততা’—সাকিবের উত্তর। 


কানাডা লিগ অতটা কাজে না দিলেও সদ্য শেষ হওয়া শ্রীলঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) অভিজ্ঞতা ভালো কাজে দেবে বলে মনে করেন সাকিব। বললেন, ‘শ্রীলঙ্কারটা (লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ) আমার কাছে একটু গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যেহেতু (এশিয়া কাপে) শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমাদের ম্যাচ আছে। ওদের সবার সঙ্গে খেললাম, মাঠ সম্পর্কে ধারণা হলো, ওদের খেলোয়াড়দের সম্পর্কেও ধারণা পেলাম। সেদিক থেকে ভালো একটা অভিজ্ঞতা হলো।’


শেয়ার করুন