২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:১৩:১৫ অপরাহ্ন
কারখানার বর্জ্য জমিতে, এলাকাবাসী অতিষ্ঠ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৮-২০২৩
কারখানার বর্জ্য জমিতে, এলাকাবাসী অতিষ্ঠ

হবিগঞ্জের মাধবপুরে বিএইচএল গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের তিনটি কারখানার বিরুদ্ধে পরিবেশদূষণের অভিযোগ উঠেছে। খরচ বাঁচাতে এম্ফুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) বন্ধ রেখে উৎপাদন চলছে কারখানাগুলোতে। সিরামিকস ও কেমিক্যাল উৎপাদনের দূষিত বর্জ্য ছাড়া হচ্ছে উন্মুক্ত স্থানে। এতে ফসলি জমি এবং নদী-নালা, খাল-বিলের পানির ব্যাপক দূষণ হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ নিয়ে কারখানার আশপাশের পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দারা পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালকের কাছে গণস্বাক্ষরসংবলিত একটি আবেদন দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি অভিযান চালিয়ে ওই কোম্পানিকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়। কিন্তু দূষণ বন্ধ হয়নি। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।


পরিবেশদূষণ রোধে এলাকাবাসীর লিখিত অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন।


সংশ্লিষ্ট কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে চীন-বাংলাদেশের ব্যবসায়ীর যৌথ মালিকানায় জগদীশপুর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা চত্বরসংলগ্ন ফসলি জমির ওপর বাংলাদেশ হার্ডল্যান্ড সিরামিকস কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি কারখানা স্থাপন করা হয়। ২০১৯ সালে ‘বিএইচএল’ নামে একটি সিরামিক ও একটি কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি গড়ে ওঠে। কিন্তু কারখানা দুটিতে ইটিপি স্থাপন করা হয় ২০২২ সালে। ইটিপি প্ল্যান্ট স্থাপনের তিন মাস না পেরোতেই সেটি বিকল হয়ে পড়ে। পরে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালকের কাছে ইটিপি মেরামতের জন্য সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। মেরামতের অজুহাতে এখনো ইটিপি প্ল্যান্টটি বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।


শ্যামপুর গ্রামের মৎস্যচাষি সুরেশ সরকার, সুখদেব সরকার ও সবজিচাষি আলম মিয়া বলেন, কারখানার বিষাক্ত পানি জমিতে ঢুকে চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।


স্থানীয় বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব সুরেশ সরকার ও তাঁর পুত্রবধূ পার্বতি সরকার জানান, কারখানার মেশিনের উচ্চ শব্দে রাতের ঘুম নষ্ট হচ্ছে। অন্তত ৩০০টি পরিবারের শিশুদের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে।


পরিবেশ অধিদপ্তর হবিগঞ্জ জেলার কর্মকর্তা মো. আকতারুজ্জামান টুকু জানান, সদর দপ্তর সিলেট কার্যালয় থেকে ২০১৮ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশ হার্ডল্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের জন্য ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়েছিল। কেমিক্যাল ফ্যাক্টরির জন্য আলাদা কোনো ছাড়পত্র ইস্যু করা হয়নি।


তবে, ফ্যাক্টরিগুলোর মধ্যে স্থাপিত দুটি ইটিপির মধ্যে একটি সচল আছে বলে দাবি করেন কারখানা তিনটির মহাব্যবস্থাপক মো. লতিফ হোসাইন শিবলী। 


শেয়ার করুন