২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৩:২৮:৫৬ অপরাহ্ন
ইরাক-আফগানিস্তানে যুদ্ধ করা ইয়াসিনই মেসির দেহরক্ষী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৮-২০২৩
ইরাক-আফগানিস্তানে যুদ্ধ করা ইয়াসিনই মেসির দেহরক্ষী

লিওনেল মেসি যেখানেই যাচ্ছেন, ছায়ার মতো তাঁকে অনুসরণ করছেন এক দেহরক্ষী। স্টেডিয়ামে প্রবেশ থেকে টানেল ধরে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার সময়, এমনকি মাঠেও নেমে পড়ছেন রেসলারের মতো বিশালদেহী এক লোক। ইতিমধ্যে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের এই দেহরক্ষীকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। গতকাল ইউএস ওপেন ফুটবলে সিনসিনাটির বিপক্ষে ম্যাচের পর সেই আলোচনা আরও তুঙ্গে। 


বার্সেলোনা ও পিএসজিতে কখনো দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়নি মেসিকে। তবে ইন্টার মায়ামিতে ৩৬ বছর বয়সীর ফরোয়ার্ড এবং তাঁর পরিবারের নিরাপত্তার জন্য ক্লাবটির সহস্বত্বাধিকারী ডেভিড বেকহাম নিয়োগ দিয়েছেন ইয়াসিন চুয়েকো নামের এই ব্যক্তিগত দেহরক্ষীকে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক নেভি সিল। মার্শাল আর্টে পারদর্শী চুয়েকোর ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধের অভিজ্ঞতাও আছে। 


মেসি আসার পর থেকে পাল্টে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের (এমএলএস) চিত্র। বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে দেখতে মাঠে ও মাঠের বাইরে উদ্গ্রীব হয়ে থাকেন তাঁর ভক্তরা। এ জন্য বিশেষ নিরাপত্তাও দিতে হচ্ছে তাঁকে। ভক্ত-সমর্থকেরা হঠাৎ যাতে মাঠে ঢুকে মেসির কাছে যেতে না পারেন বা তাঁকে প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকেরা কোনো আঘাত করতে না পারেন, সে জন্য দেহরক্ষী রাখা হয়েছে। 


এ ব্যাপারে গত জুনে ইন্টার মায়ামির মালিক হোর্হে মাস বলেছিলেন, ‘নিঃসন্দেহে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে। নিরাপত্তা প্রটোকল ইতিমধ্যে মাঠে ও মাঠের বাইরের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি শুধু আমাদের ম্যাচের জন্য নয়।’ 


যুক্তরাষ্ট্রে হুটহাট প্রকাশ্যে আততায়ীর গুলিবর্ষণ নতুন নয়। এ জন্য মেসির মতো তারকার বাড়তি নিরাপত্তা থাকবে, সেটিই স্বাভাবিক। তবে চুয়েকো আলোচনায় আসার কারণ, ম্যাচের সময় প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় কাছে আসতে চাইলে মেসিকে পাহারা দিতে মাঠে নেমে পড়ায়। সেসব ভিডিও বেশ কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। সিনসিনাটির বিপক্ষে ম্যাচেও মেসির পাশে থাকতে টাচলাইন ধরে দৌড়েছেন তাঁর দেহরক্ষী। সেটিরও একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর টুইটারে একজনের মন্তব্য, ‘ইন্টার মিয়ামিতে মেসির ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। তাঁকে সর্বত্র অনুসরণ করেন।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘মেসির দেহরক্ষী মাঠেও নেমে পড়ে।’ অন্যজন একটু মজা করে বলেছেন, ‘এই দেহরক্ষী এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ। কারণ, তিনি প্রতি মিনিটে মেসিকে দেখেন।’


শেয়ার করুন