০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:১৬:১৯ অপরাহ্ন
পুঠিয়ার পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে এবার লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সেই ছাত্রীর
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৮-২০২৩
পুঠিয়ার পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে এবার লাঞ্ছিত করার অভিযোগ সেই ছাত্রীর

রাজশাহীর পুঠিয়ায় পৌরসভার কর্মচারী দ্বারা লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন এক কলেজছাত্রী (২৪)।


ভুক্তভোগীর অভিযোগ, পৌরসভায় নাগরিক সনদ নিতে গেলে মেয়র আল মামুন খাঁনের নির্দেশে তাঁকে অস্থায়ী পৌরসভা ভবনের একটি কক্ষে আটক রেখে টানা-হিঁচড়া ও হুমকি দেওয়া হয়।


বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন রাতেই ওই ছাত্রী বাদী হয়ে মেয়র, সহকারী প্রকৌশলী ও সংরক্ষণ পরিদর্শককে অভিযুক্ত করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।


ওই কলেজছাত্রী বলেন, ‘গতকাল সকালে নাগরিক সনদ আনতে পৌরসভায় যাই। পৌরসভার নিচ তলায় গেলে সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম তাঁকে বলেন নাগরিক সনদ দেওয়া হয় তিন তলায়। প্রকৌশলীর সঙ্গে তিন তলায় গেলে মেয়রকে কল দেন। মেয়রের নির্দেশনা পেয়ে প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম ও সংরক্ষণ পরিদর্শক আরিফুল হক রিপন আমাকে একটি কক্ষে আটকিয়ে টানা-হিঁচড়া করেন।’


ভুক্তভোগী ছাত্রী আরও বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় অভিযুক্তরা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেয়। এ ঘটনায় গতকাল রাতে মেয়রসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।


পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার সময় তিনি পৌরসভায় ছিলেন না। পরে এসেছেন। ওই ছাত্রী তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সঠিক তদন্ত করা হলে আসল ঘটনা বেড়িয়ে আসবে।


এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র আল মামুন খাঁন বলেন, ওই মেয়ে নতুন করে হয়তো কোনো ষড়যন্ত্র করতে পৌরসভায় এসে জটিলতা করেছে। থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।


পুঠিয়া থানার ওসি ফারুক হোসেন উভয় পক্ষের অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেয়র অভিযোগ করেছেন মেয়েটি পৌরসভায় গিয়ে কর্মচারীদের হুমকি দিয়েছে। সেই সঙ্গে দপ্তরে বিভিন্ন ফাইলপত্র তলব ভিডিও ধারণ করেছে। আর ওই মেয়েটি অভিযোগ করেছেন মেয়রের নির্দেশে পৌরসভার কর্মচারীরা তাঁকে ভবনের একটি কক্ষে আটকিয়ে লাঞ্ছিত করেছে।


ওসি বলেন, পুলিশ উভয় পক্ষের অভিযোগ তদন্তকাজ শুরু করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


পুঠিয়া সদর এলাকার ওই কলেজ ছাত্রীকে চাকরি দেওয়ার নামে মেয়র আল মামুন নিয়মিত ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগ ওঠে। একপর্যায়ে ওই ছাত্রী মেয়রের অনৈতিক কাজে রাজি না হওয়ায় তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর মেয়রের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এর আগে ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল দুর্গাপুর উপজেলার এক হাসপাতালের সেবিকা মেয়রের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন।


শেয়ার করুন