২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:৪৬:২২ অপরাহ্ন
ইউক্রেনে বিজয় ঘোষণার আরও কাছে রাশিয়া!
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৬-২০২২
ইউক্রেনে বিজয় ঘোষণার আরও কাছে রাশিয়া!

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোডোনেটস্কে রুশ বাহিনীর অব্যাহত বোমাবর্ষণে দেশটির সেনারা পিছু হটেছে। এখন ইউক্রেনীয় সেনারা ওই শহরের প্রান্তদেশ নিয়ন্ত্রণ করছে। ইউক্রেনের আঞ্চলিক কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে ইউক্রেনে রাশিয়া তাদের বিজয় ঘোষণার আরও কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

শুধু বিশ্লেষকরা নয়, এই কথা মানছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। এক বার্তায় তিনি বলেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলাফল কী হবে তা নির্ভর করবে সেভারোদোনেৎস্ক শহরের যুদ্ধের উপর। অনেক ক্ষেত্রেই, ডনবাসের ভাগ্যে কী জুটবে তা সেখানেই নির্ধারিত হচ্ছে।

জেলেনস্কি দাবি করেছেন, তার সৈন্যরা শত্রুবাহিনীর বড় ধরনের ক্ষতি করতে পেরেছে। তবে ওই এলাকায় থাকা ইউক্রেনের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে রুশ বাহিনী শহরের বাইরে পুশ ব্যাক করেছে।

লুহানস্ক অঞ্চলের গভর্নর সের্হি হাইদাই বলেছেন যে রাশিয়ার গোলা নিক্ষেপ এবং বিমান হামলা বাড়ানোর পর বিশেষ বাহিনী পিছু হটেছে।আমাদের বাহিনী এখন আবার শুধুমাত্র শহরের বাইরের অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে লড়াই এখনও চলছে, আমাদের বাহিনী সেভারোদোনেৎস্ককে রক্ষা করছে।

গভর্নর বলেন, প্রায় ১৫ হাজার বেসামরিক লোক সেভারোদোনেৎস্ক এবং নিকটবর্তী শহর লিসিচানস্কে রয়েছেন।

বুধবার রাশিয়া বলেছে যে, ইউক্রেন ডনবাসে ‘জনশক্তি, অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হয়েছে’।

মার্চের শেষের দিকে যখন রাশিয়ার সেনারা রাজধানী কিয়েভের আশপাশ থেকে পিছু হটে, তখন যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দু পূর্ব ইউক্রেনের দিকে সরে যায়। ২০১৪-১৫ সালের যুদ্ধের পর থেকেই ডনবাসের বড় অংশ রাশিয়া-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

রাশিয়া ২৪শে ফেব্রুয়ারী আক্রমণ চালায় এই বলে যে, ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ এবং “ডি-নাজিফাই” করতে চায়। তবে তাদের এই দাবি ব্যাপকভাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে, উভয় পক্ষের হাজার হাজার যোদ্ধা সহ কমপক্ষে ৪,২৫৩ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং ৫১৪১ জন আহত হয়েছে। এছাড়া বাড়ি ঘর ছেড়ে পালিয়েছে ১ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে যে, পুরো ইউক্রেন দখলের কোনো ইচ্ছে নেই রাশিয়ার। যদি ইউক্রেনে ন্যাটো থেকে সরে আসার শর্ত মানে তাহলে হয়তো থামবে রাশিয়া। আর তা না হলে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক তথা ডনবাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউক্রেনে নিজেদের বিজয় ঘোষণা করতে পারে রাশিয়া।

শেয়ার করুন