২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৪২:১৪ অপরাহ্ন
মূল্যস্ফীতি-অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৮-২০২৩
মূল্যস্ফীতি-অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

যে কোনো মূল্যে মূল্যস্ফীতি কমানো এবং বিভিন্ন প্রকল্পে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর জন্য তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিভিন্ন প্রকল্পে গাছ লাগানোসহ দেশের হাসপাতালগুলোয় লোকবল সংকট নিয়েও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। লোকবল সংকট দূর করতে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল মঙ্গলবার একনেক সভায় এ নির্দেশ দেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় তিনি একনেক চেয়ারপারসন হিসেবে সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম, কৃষি, পানি পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) ফজলুল হক এবং তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।

সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জোর করে মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না। কিন্তু পলিসিগতভাবে কী উদ্যোগ নিলে


মূল্যস্ফীতি কমবে সেটি করতে হবে। এর জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান যে, গত ৪ মাস ধরে এক কদম করে কমেছে। তারপরও নীতিগতভাবে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, অহেতুক ব্যয় কমানোর বিষয়ে ফের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে তিনি বলেছেন, অহেতুক বাড়াবাড়ি, অপচয় কমাতে হবে। যে প্রকল্পগুলো ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ কাজ হয়েছে সেগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে শেষ করতে হবে। ঋণের নতুন জানালা খুলেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে ব্রিকসের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) থেকে ঋণ পাওয়া যাবে। তাহলে এখন আমরা দরদাম করে ঋণ নিতে পারব। এখন আমাদের এডিবি, বিশ্বব্যাংক, এআইআইবি এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক- যেখান থেকে সহজ শর্ত পাব সেখান থেকে আমরা ঋণ নেব।

তিনি বলেন, নালা বা পুকুরের নিচে পাকা না করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ এতে পানি নিচে যেতে পারে না। এছাড়া স্লুইস গেট করার ক্ষেত্রে সতর্ক করেছেন। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, স্লুইস গেট যারা করে তারা চলে যায়। আর যারা দায়িত্বে থাকেন তাদেরও খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি সব প্রকল্পে গুরুত্ব দিয়ে সবুজ বেষ্টনী করতে বলেছেন। ক্লাইমেট ফান্ড থেকে অর্থ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন। হাসপাতাল উন্নয়ন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু বিল্ডিং করলে হবে না। এর সঙ্গে যন্ত্রপাতি ও জনবল নিশ্চিত করতে হবে। প্রায়ই শুনি হাসপাতাল আছে যন্ত্রপাতি নেই, জনবল নেই। এটা ঠিক নয়।


শেয়ার করুন