এশিয়ার নোবেলখ্যাত র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভি রাখসান্দ। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ডের ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে তার নাম ঘোষণা করা হয়।
চলতি বছর এ পুরস্কার প্রবর্তনের ৬৫তম বার্ষিকীতে করভিকে 'উদীয়মান নেতা' হিসেবে এ স্বীকৃতি দিয়েছে র্যামন ম্যাগসেসে কর্তৃপক্ষ।
এবারের র্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার পেয়েছেন আরও তিনজন— ভারতের রবি কান্নান আর., পূর্ব তিমুরের ইগুয়েনিও লেমোস ও ফিলিপাইনের মিরিয়াম করোনেল–ফেরের।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় করভি রাখসান্দ বলেন, এ পুরস্কার বা এই সম্মাননা শুধু আমার একার নয়; এ দীর্ঘ পথচলায় যারা আমার সঙ্গে ছিল সবাই এটার দাবিদার। আমরা আবার প্রমাণ করলাম তরুণরা কেবল প্রতিশ্রুতি দিয়েই থেমে থাকে না, তারা বাস্তবায়ন করেও দেখাতে পারে।
তিনি বলেন, আমরা ২০০৭ সাল থেকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করে আসছি। শিক্ষামূলক কার্যক্রমে ক্রমান্বয়ে আমাদের পরিধি আরও বেড়েছে। এ পুরস্কার আমাদের জন্য একটি বড় স্বীকৃতি। এটি আমাদের দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।
র্যামন ম্যাগসেসে অ্যাওয়ার্ড ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য কাজ করা, সবার মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া ও হাজারো তরুণ-তরুণীকে সমাজ পরিবর্তনে উদ্বুদ্ধ করা এবং করভির দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের জন্য তাকে এই পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ থেকে মোট ১২ জন এ পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন— সমাজসেবী তহরুন্নেসা আবদুল্লাহ (১৯৭৮), ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ (১৯৮০), গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস (১৯৮৪), গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী (১৯৮৫), ক্যাথলিক ধর্মযাজক রিচার্ড উইলিয়াম টিম (১৯৮৭), দিদার কমপ্রিহেন্সিভ ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেটিভ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইয়াসিন (১৯৮৮), বেসরকারি সংগঠন বাঁচতে শেখার প্রতিষ্ঠাতা অ্যাঞ্জেলা গোমেজ (১৯৯৯), বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ (২০০৪), প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান (২০০৫), বেসরকারি সংগঠন সিডিডির নির্বাহী পরিচালক এএইচএম নোমান (২০১০), বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান (২০১২) ও বিজ্ঞানী ফেরদৌসী কাদরী (২০২১)।
