হৃদযন্ত্রে সমস্যা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে হাসপাতালে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
তার এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা। দুপুর আড়াইটার দিকে এনজিওগ্রাম করা হবে।
শনিবার দুপুরে এভারকেয়ার হাসপাতালের গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ম্যাডামের একুয়েট করোনারি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে অতি দ্রুত তার হৃদযন্ত্রে এনজিওগ্রাম করার। একই সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণে পরিবারের সদস্যদের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।
অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। এর আগে খালেদা জিয়া বাসা থেকে রাত ২টা ৫৫ মিনিটে বের হন।
এরপর ১৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন হয়। অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোমিন-উজ জামান ও অধ্যাপক সামস মনোয়ার রয়েছেন এই বোর্ডে।
সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এই বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ফখরুল ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে বিশেষ করে এনজিওগ্রাম করার পরে বোঝা যাবে, সমস্যাটা কতটা জটিল। এমনিতেই তো বিভিন্ন অসুখে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ একজন রোগী।
৭৬ বছর বয়সি খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।