০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:৪৮:১৬ অপরাহ্ন
যুবলীগ কর্মী হত্যা: প্রতিমন্ত্রী-উপজেলা চেয়ারম্যান পক্ষ পাল্টা কর্মসূচি ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৯-২০২৩
যুবলীগ কর্মী হত্যা: প্রতিমন্ত্রী-উপজেলা চেয়ারম্যান পক্ষ পাল্টা কর্মসূচি ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় যুবলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান আসাদ হত্যার ঘটনায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দের পক্ষের লোকজন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।


আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মুক্তাগাছা পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।


মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম লুৎফর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


যুবলীগ কর্মী হত্যার ঘটনায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। এসব কর্মসূচি থেকে যে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে। এসব অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’


মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, ‘১৪৪ ধারা জারির পর পৌর শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়। যুবলীগ নেতা হত্যার ঘটনায় তিনজন আটক করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’


প্রতিমন্ত্রী-উপজেলা চেয়ারম্যান দ্বন্দ্বে কর্মী খুন, মামলায় প্রধান আসামি উপজেলা যুবলীগ সভাপতিপ্রতিমন্ত্রী-উপজেলা চেয়ারম্যান দ্বন্দ্বে কর্মী খুন, মামলায় প্রধান আসামি উপজেলা যুবলীগ সভাপতি


গত ২৮ আগস্ট রাত পৌনে ৯ টার দিকে শহরের আটানী বাজারে একটি চায়ের দোকানে বসে আসাদুজ্জামান আসাদ, নাহিদসহ কয়েকজন মিলে একসঙ্গে চা পান করছিলেন। এ সময় ৩০ থেকে ৩২ জনের একটি দল অস্ত্র নিয়ে তাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। আসাদকে তারা উপর্যুপরি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যান।


পরে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়। এঘটনার পর রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।


ঘটনার পরদিন ২৯ আগস্ট বিকেলে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে নিহতের মরদেহ মহাসড়কে রেখে বিক্ষোভ করেন নিহতের স্বজন ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।


গত ৩১ আগস্ট বিকেলে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে আসাদুজ্জামান আসাদ হত্যায় অংশগ্রহণকারী ও পরিকল্পনাকারীদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান স্বজন ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা।


পরে ওই দিন রাতে নিহত আসাদুজ্জামান আসাদের ছেলে তাইব হাসান আনন্দ বাদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুল হাসান মনিসহ ৩০ জনের নামে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন।


শেয়ার করুন