২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১১:৪৭:১৭ অপরাহ্ন
৩০০ কোটি টাকা পাচার করেছে ১০ কারখানা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৯-২০২৩
৩০০ কোটি টাকা পাচার করেছে ১০ কারখানা

দেশের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক ১০টি প্রতিষ্ঠান পোশাক রপ্তানির আড়ালে ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ১১৮ মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। তদন্ত করে এই অর্থ পাচারের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। 


শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে প্রজ্ঞা ফ্যাশন লিমিটেড, ফ্যাশন ট্রেড, এম ডি এস ফ্যাশন, হংকং ফ্যাশনস লিমিটেড, থ্রি-স্টার ট্রেডিং, ফরচুন ফ্যাশন, অনুপম ফ্যাশনওয়্যার লিমিটেড, পিক্সি নিটওয়্যারস লিমিটেড, স্টাইলাইজ বিডি লিমিটেড ও ইডেন স্টাইল টেক্স। 


শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর বলেছে, অভিনব কায়দায় রপ্তানি জালিয়াতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে পণ্যের চালান বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে, কিন্তু রপ্তানি আয়ের সেই বৈদেশিক মুদ্রা প্রত্যাবাসিত হচ্ছে না, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তদন্ত করে তারা এই অর্থ পাচারের ঘটনা নিশ্চিত হয়েছে। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিল অব এক্সপোর্ট জালিয়াতি করে অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ইএক্সপি (এক্সপোর্ট পারমিশন বা রপ্তানির অনুমতি) ব্যবহার করে পণ্য রপ্তানি করেছে এবং বিল অব এক্সপোর্টের ২৪ নম্বর কলামে নমুনার কোড ২০ ব্যবহার করেছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অর্থ দেশে প্রত্যাবাসিত না হয়ে পুরো চালানের রপ্তানিমূল্য বাবদ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে। 


অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেছে, একটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অন্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের ইএক্সপি ও বিধিবহির্ভূত কোড ব্যবহারের মাধ্যমে রপ্তানির একাধিক ঘটনা সম্প্রতি অধিদপ্তর উদ্‌ঘাটন করেছে। ওই ১০টি প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে ১ হাজার ২৩৪টি পণ্য চালানে এমন জালিয়াতি করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসব চালানে ৯ হাজার ১২১ টন পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যার প্রত্যাবাসনযোগ্য বিদেশি মুদ্রার সম্ভাব্য পরিমাণ ৩ কোটি ৫৩ লাখ ৬৬ হাজার ১১৮ মার্কিন ডলার (প্রায় ৩০০ কোটি টাকা)।  


শুল্ক গোয়েন্দারা সংশ্লিষ্ট দলিল পর্যালোচনা করে দেখেছেন, টি-শার্ট, টপস, নারীদের পোশাক, ট্রাউজার, বেবি সেট, পোলো শার্ট ইত্যাদি সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কাতার, সৌদি আরব, নাইজেরিয়া প্রভৃতি দেশে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে রপ্তানি দেখিয়ে ওই ১০ প্রতিষ্ঠান অর্থ পাচার করেছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর বিল অব এক্সপোর্ট ও ইএক্সপিতে বর্ণিত তথ্যের মিল পাওয়া যায়নি। বিল অব এক্সপোর্টে উল্লেখিত ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ওই ১০ প্রতিষ্ঠানের কোনোটিই সেই ব্যাংকে লিয়েন করা নয়। ফলে ওই ব্যাংকের মাধ্যমে ইএক্সপির রপ্তানিমূল্য প্রত্যাবাসিত হয়নি বা হওয়ার সুযোগও নেই।


শেয়ার করুন