২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:১৬:৫৪ অপরাহ্ন
শরতে সেজেছে পর্যটন শহর রাঙামাটি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৯-২০২৩
শরতে সেজেছে পর্যটন শহর রাঙামাটি

উজান থেকে নেমে আসা পানিতে টইটম্বুর কাপ্তাই হ্রদ। জলরাশির মাঝে ছোট্ট ছোট্ট দ্বীপে জনবসতি। সবুজ পাহাড়ের ওপরে শরতের নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের ভেলা। পাহাড় থেকে নেমে আসা প্রাকৃতিক ঝরনা বৃষ্টিতে রূপের ডালি মেলে দিয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে পর্যটন শহর রাঙামাটি এবং এর আশপাশের এলাকার সৌন্দর্যের এখন জুড়ি মেলা ভার। 


স্থানীয়রা বলেন, পাহাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা, বাজারে জুমের সতেজ সবজি ও কাপ্তাই হ্রদের তাজা মাছের স্বাদ নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। লেকের স্বচ্ছ নীল পানিতে নৌভ্রমণে এখন যে আনন্দ পাওয়া যাবে, তারও কোনো তুলনা নেই। 


বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন রাঙামাটির ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা বলেন, শরতে রাঙামাটির সৌন্দর্য আসলে অনন্য। আবহাওয়াও থাকে নাতিশীতোষ্ণ। এ সময় রাঙামাটি ভ্রমণে প্রকৃতি দর্শনে পূর্ণ তৃপ্তি পান পর্যটকেরা। 


উল্লেখ্য, ১৯৬০-এর দশকে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে নির্মাণ করা হয় ২৪০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এর কারণে পানিতে তলিয়ে যায় ৭২৫ বর্গ কিলোমিটারের বিস্তীর্ণ এলাকা। যে এলাকাটি কাপ্তাই হ্রদ নামে পরিচিতি পায়। এ কাপ্তাই হ্রদ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি মিঠা পানির মাছের ভান্ডার ও দুর্গম এলাকায় যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমে পরিণত হয়। কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে গেলে এখানে নানান দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। 


কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, কাপ্তাই বাঁধের পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। বর্তমানে এ পানির উচ্চতা ১০৬.৭৬ ফুট এমএসএল। এর চেয়ে পানি বাড়লে নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে মানুষ দুর্ভোগে পড়ে। 


কাপ্তাই পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আব্দুজ্জাহের বলেন, পানি অস্বাভাবিক রকম বাড়লে হ্রদের পানি ছাড়ার কথা চিন্তা করা হবে। আপাতত এমন সিদ্ধান্ত নেই।


শেয়ার করুন