ভারতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় তুলে ধরার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যরা। গতকাল সোমবার সংসদ অধিবেশন কক্ষে প্রবেশকালে টেবিল চাপড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন তারা।
গতকাল সোমবার পৌনে ৫টায় জাতীয় সংসদে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। মাগরিবের বিরতির পরে বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ বিমান বিল-২০২৩’-এর ওপর আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা। বিলের ওপর জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমামের আলোচনা চলাকালে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে সংসদ অধিবেশন কক্ষে প্রবেশ করেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙাসহ সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যরা টেবিল চাপড়িয়ে তাকে অভিনন্দন জানান। অন্যরা নিজ নিজ চেয়ারে বসে টেবিল চাপড়ালেও রাঙাকে চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে টেবিল চাপড়াতে দেখা গেছে। এটি দেখে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে হাসতে দেখা যায়। তবে বক্তব্য চলাকালে হঠাৎ টেবিল চাপড়ানোতে হতচকিত হয়ে যান বক্তব্য দিতে থাকা ফখরুল ইমাম।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সংসদের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর গত শুক্রবার জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে ভারতের দিল্লিতে যান তিনি। সফর শেষে রবিবার দেশে ফিরলেও অধিবেশনে যোগ দেননি সংসদ নেতা। প্রধানমন্ত্রী রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় দেশে ফেরেন এবং ওইদিন সন্ধ্যায় বাংলাদেশে সফরে আসা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইনামুয়েল ম্যাক্রোঁকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। ফলে একদিন বিরতির পর সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পরে অধিবেশনে আসেন তিনি।
এ সময়ে ফখরুল ইমাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সংসদ সদস্যরা হাত তালিটা দিল, এটাতে মনে হয় অভিনন্দন দিল নাকি! আমরা জানতে চাই, আসলে ঘটনাটা কী হলো? তিনি (প্রধানমন্ত্রী) জি-২০ সম্মেলনের প্রত্যেকটা জায়গায় ফায়দা তুলেছেন। এটা ওনার বুদ্ধিমত্তার জন্য পেরেছেন। এ সময় রাঙার দিকে হাত দেখিয়ে ফখরুল ইমাম বলেন, ‘জি-২০ সম্মেলনের সফলতার জন্য সংসদ সদস্য হাততালি দিয়েছেন?’ তখন মসিউর রহমান রাঙাকে মাইক ছাড়া বলতে শোনা যায়, ‘চিফ হুইপ বলতে’। তখন ফখরুল ইমাম বলেন, ‘চিফ হুইপ (বিরোধী দলের) আমরা শুনতে চাই, সাফল্যগুলো কোনো সময় তিনি যদি বলেন। তাতে আমরা আশ্বস্ত হই।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানাতে দেখা যায়।
দলটির আরেক সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেহেতু জি-২০ সম্মেলন থেকে ফিরে এসেছেন, এতে বাংলাদেশের মানুষ আশাবাদী। আমরাও তাকে ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই। তার সুযোগ্য কন্যাকে (সায়মা ওয়াজেদ পুতুল) নিয়ে বড় অর্জন, এ সামিটের সদস্য না হয়েও সব সুযোগ-সুবিধা পেয়েছেন। বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলেছেন, বাংলাদেশের সম্মানের পক্ষে কথা বলেছেন, ইতিহাস-ঐতিহ্যকে তুলে ধরার কথা বলেছেন। বাংলাদেশের সংবিধান সমুন্নত রাখার পক্ষে।