২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০১:৩৬:১৮ অপরাহ্ন
অবরোধে চৌদ্দগ্রামের অধিকাংশ কর্মকর্তা অনুপস্থিত, ভোগান্তিতে সেবাগ্রহীতারা
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১১-২০২৩
অবরোধে চৌদ্দগ্রামের অধিকাংশ কর্মকর্তা অনুপস্থিত, ভোগান্তিতে সেবাগ্রহীতারা

বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর দ্বিতীয় দফায় ডাকা দুই দিনের সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিনে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসনের কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। এদিন উপজেলা প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তা ছিলেন অনুপস্থিত। নিজ কর্মস্থলে বা কর্ম এলাকায় রাত্রিযাপনের নিয়ম থাকলেও অনেকেই তা মানেননি।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝুঁকি নিয়ে হাতে গোনা কয়েকজন এলেও বেশির ভাগ কর্মকর্তা জেলা শহরে কাজের অজুহাত দেখিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এতে দূরদূরান্ত থেকে আসা সেবাগ্রহীতারা পড়েন ভোগান্তিতে। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর সেবা নিতে না পেরে অনেকেই হতাশ হয়ে ফিরে যান।


একাধিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার সকাল থেকে অনেক কর্মকর্তা নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত হননি। অনেকেই উপজেলা পরিষদের ভেতরে সরকারি বাসভবনে থাকেন। তাঁদের মধ্যেও কেউ কেউ যথাসময়ে অফিসে উপস্থিত হতে পারেননি। এদিন দুপুর ১২টার মধ্যেও নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেননি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাকিনা বেগম, নির্বাচন কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলাম, সমবায় কর্মকর্তা ভূঁইয়া মোহাম্মদ শাহীনুর রহমান, সমাজসেবা কর্মকর্তা সাহিদুর রহমান, তথ্য কর্মকর্তা ফাতেমা আক্তার, পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান মজুমদার, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া, বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার অপূর্ব সাহা।


দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়ার দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, অফিসে তালা ঝুলছে। মোবাইল ফোনে তাঁর সঙ্গে কথা বলে অনুপস্থিতির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে জেলাতে অবস্থান করছি। বিকেলে অফিসে আসব।’


উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলামের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, তিনিও অনুপস্থিত। সেবাগ্রহীতারা বাইরে ঘোরাফেরা করছেন। সাইফুল ইসলাম নামের এক সেবাগ্রহীতা বলেন, ‘গত বুধবার থেকে নির্বাচন কর্মকর্তাকে পাচ্ছি না। আইডি কার্ডের সমস্যা নিয়ে তিন দিন ধরে আসা-যাওয়া করছি।’ এ বিষয়ে মিনহাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন।


সমাজসেবা কর্মকর্তা সাহিদুর রহমানকেও তাঁর কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। কার্যালয়ের অন্য কর্মকর্তারা জানান, তিনি আসেননি। কেন আসেননি, তা তাঁরা জানেন না। সেবাগ্রহীতা কুলসুম বেগম বলেন, ‘গত সপ্তাহ থেকে আমি এই অফিসে আসা-যাওয়া করতেছি। বড় স্যারকে পাচ্ছি না। তাই আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের আইডি কার্ডের সমস্যা সম্পর্কে কথা বলতে পারছি না।’


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তানভীর হোসেন বলেন, ‘আমি সকাল থেকে বিজিবি সদস্যদের নিয়ে মহাসড়কে ব্যস্ত ছিলাম। কর্মকর্তাদের সবার বাড়ি জেলা শহরের ভেতরে। তাঁরা কেন আসেননি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


শেয়ার করুন