২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১০:৪৯:৫৪ অপরাহ্ন
শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবছর প্রয়োজন ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৯-২০২৩
শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবছর প্রয়োজন ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার

নির্ধারিত সময় অর্থাৎ ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রতিবছর অন্তত ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। তবেই কেবল বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি আটকানো সম্ভব হবে। বৈশ্বিক গবেষণা ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান উড ম্যাকেঞ্জি বা উডম্যাক এক গবেষণার বরাত দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।


বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়কর প্রভাব এড়াতে বিশ্বকে আদর্শভাবে এই শতাব্দীতে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ করতে হবে। অনেক দেশের সরকার এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করার লক্ষ্যে ২০৫০ সালের কার্বন যৌগ নির্গমনের হার শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে উডম্যাকের গবেষণা বলছে, বেশির ভাগ দেশই ২০৩০ সালের জন্য যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছি তা অর্জনে ব্যর্থ হবে। 


শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা হলো—বিশ্বব্যাপী কার্বনের নিঃসরণ যতটা সম্ভব শূন্যের কাছাকাছি নামিয়ে আনা এবং অবশিষ্ট নিঃসৃত কার্বন বায়ুমণ্ডল থেকে বন এবং সাগরের সহায়তায় পুনঃশোষণ করা। তবে উডম্যাকের গবেষণা বলছে, বিশ্বের দেশগুলো প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হবে। ফলে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার যে প্রতিশ্রুতি তাও ব্যর্থ হবে। জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা আড়াই ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পাবে।


উডম্যাকের গবেষণা বলছে, বর্তমানে বৈশ্বিক জ্বালানি খাতকে কার্বনমুক্ত করতে প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তবে শূন্য কার্বন নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এই পরিমাণ ১৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ২ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলার করতে হবে। তবেই কেবল বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হবে। উডম্যাকের গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, এই মোট বিনিয়োগের তিন চতুর্থাংশই করতে হবে শক্তি এবং অবকাঠামো খাতে। 


উডম্যাকের চেয়ারম্যান এবং প্রধান বিশ্লেষক সিমন ফ্লাওয়ারস বলেন, ‘১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিষয়টি অর্জন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে। তবে চলতি দশকে আমরা কী সিদ্ধান্ত নিব তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করছে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে কি না।’ 


নবায়নযোগ্য জ্বালানি যেমন—সৌর শক্তিকে বিশ্বের প্রয়োজনীয় শক্তির অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহারের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে উডম্যাকের গবেষণায়। পাশাপাশি পরিবহন খাতকে বিদ্যুতায়িতকরণ, হাইড্রোজেন জ্বালানির ব্যবহারও বাড়ানোর প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে।


শেয়ার করুন