রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী পাবনার ঈশ্বরদীর সাবেক বিএনপি নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ মারা গেছেন। তিনি ১৯৯৪ সালে ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও হামলা মামলার রায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হন।
আজ শনিবার দুপুরে তিনি মারা যান। সন্ধ্যায় মুঠোফেনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. নিজামুদ্দিন।
আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, আবুল কালাম আজাদ বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে দুর্বল ছিলেন। আজ শনিবার দুপুর আনুমানিক দেড়টার দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুপুর ২টার দিকে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর দুপুর ২টা ৫০ মিনিটের দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। কারাগারের জেলার আরও জানান, নিয়মানুযায়ী মরদেহ ময়নাতদন্তের পর তাঁর নিকট আত্নীয়-স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আবুল কালাম আজাদ পাকশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।
১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এতে রেল থানায় মামলা হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর পর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ রুস্তম আলী ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২৫ জন যাবজ্জীবন, ১৩ জন দশ বছর কারাদন্ড ও ৯ জনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। এরমধ্যে বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি পাকশীর বাঘইলে।