২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৬:২১:৩২ পূর্বাহ্ন
বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৯-২০২৩
বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

বিএনপি নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম রাজশাহী শাখার উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।


আজ বুধবার দুপুর ২টায় রাজশাহী মালোপাড়ার বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সংম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনের বিএনপি চেয়ারপর্সান বেগম খালেদা জিয়া, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলনসহ সারাদেশে আটক বিএনপির নেতাদের নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে জানানো হয়।


বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী আইনজীবী ফোরাম রাজশাহী শাখার সভাপতি এবং বাংলাদেশ আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলহাজ¦ মাইনুল আহসান পান্নার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ জাতায়ীতাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি এডভোকেট আলহাজ¦ আলী আশরাফ।


তিনি বলেন, এই অবৈধ সরকার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গুম, খুন ও মিথ্যা গায়েবী মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। মিথ্যা সাজানো মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়ে সাজা প্রদান করছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন, তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে একদিনও বন্দি রাখার আইনগত কোন কারণ নেই। কারণ সি.আর.পি.সি ৪৯৭ ধারায় স্পস্ট উল্লেখ আছে শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ এবং অসুস্থ হলে তিনি জামিন পাওয়ার হকদার। এদিক থেকে বেগম জিয়া একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বয়স্ক নারী এবং গুরুতর অসুস্থ। সবদিক বিবেচনা তাঁর জামিন না পাওয়ার কোন কারন নাই। তাঁর জনপ্রিয়তায় বয় পেয়ে জোর কওে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।


তিনি আরো বলেন, গত ২৮ জুলাই বিএনপি ঘোষিত ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দিতে গেলে তাঁকে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পার্শবর্তী এলাকা থেকে ২৭ জুলাই রাতে পুলিশ থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সারারাত আটক রাখার পরে ২৮ জুলাই সমাবেশ শেষ হলে মিলন সহ বেশ কয়েকজনকে ফৌজদারী কার্যবিধিল ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে ঢাকা সি.এম.এম আদালেত হাজির করে কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠান। সেখান থেকে ৬ আগস্ট ঢাকা আদালত হতে জামিন পেয়ে বের হওয়ার জন্য গেটে আসলে তাঁকে বের হতে না দিয়ে রাজশাহীতে দুইটি মামলায় পুলিশ আবারও আটক দেখান। পরে তাঁকে রাজশাহী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। তিনি মামলায় জামিন পেলেও তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আটক করে রাখার জন্য নতুন নতুন মামলা দেয়া হচ্ছে। এই মামলাগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট বলে উল্লেখ করেন তিনি।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও রাজশাহী বার এর সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জমসেদ আলী, আইনজীবী ফোরাম রাজশাহীর সহ-সভাপতি ও বার সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট পারভেজ তৌফিক জাহেদী, ইউনাইটেড আইনজীবী ফোরামের সদস্য এডভোকেট এজাজ, আইনজীবী ফোরামের প্রচার সম্পাদক এডভোকেট সেফাত জেনির তুলি, সাংগটনিক সম্পাদক এডভোকেট ইমতিয়াজ মাসরুম আলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকটে এনামুল হক, সদস্য এডভোকেট আব্দুল আলিম রাসেল ও এডভোকেট ইশা।


এছাড়াও মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি ও মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন