২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০৫:৩৯:৪০ পূর্বাহ্ন
ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নে জোর প্রধানমন্ত্রীর
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০২-২০২৪
ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নে জোর প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেছেন, গাজায় এখন যা ঘটছে তা গণহত্যা। ফিলিস্তিনি জনগণের বেঁচে থাকার এবং তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার রয়েছে। শনিবার তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।


বাংলাদেশ সবসময়ই গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জোর দিয়ে বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটি একটি গণহত্যা। আমরা কখনই এটিকে সমর্থন করি না।’


জার্মানিতে ৬০তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, ‘গাজার জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার আছে, এটা খুবই দুঃখজনক বিষয়। তাই আমাদের উচিত তাদের সাহায্য করা এবং এই আক্রমণ ও যুদ্ধ বন্ধ করা।’


অবরুদ্ধ উপত্যকাটির মানুষের জন্য বাংলাদেশ সহায়তা পাঠিয়েছে উল্লেখ করে হাসিনা বিশ্বকে ‘পীড়িত শিশু, নারী ও ফিলিস্তিনের জনগণকে’ সমর্থন ও সাহায্য করার আহ্বান জানান।


দক্ষিণ গাজার রাফা শহরে পরিকল্পিত ইসরাইলি অভিযান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কখনই এ ধরনের আক্রমণকে সমর্থন করেনি।


‘ফিলিস্তিনি জনগণের তাদের নিজস্ব রাষ্ট্রের অধিকার থাকা উচিত, এটি স্পষ্ট,’ বলেন হাসিনা। তিনি জোর দিয়ে বলেন, দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলো ‘বাস্তবায়ন করা উচিত।’


গাজায় ইসরাইলের আক্রমণে পূর্বে বাস্তুচ্যুত হওয়া প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি রাফা সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে। শহরটিতে আক্রমণের জন্য ইসরাইলের পরিকল্পনা প্রকাশের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সংযম বা অপারেশন বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে।


ইসরাইল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইতোমধ্যে গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত হয়েছে।


গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে আসছে। দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু।


অপরদিকে হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরাইলি নিহত হওয়ার দাবি করেছে তেলআবিব।


জাতিসংঘের মতে, গাজার উপর ইসরাইলি যুদ্ধের ফলে ভূখণ্ডের ৮৫ শতাংশ জনসংখ্যাকে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র ঘাটতির মধ্যে রয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। এছাড়া উপত্যকার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। 


শেয়ার করুন