রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহেল শাহরিয়ার ও মারুফ রেজা সাগর নামের ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজ ছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি হত্যায় জড়িত সন্দেহে আরও আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সোহেল শাহরিয়ার ও মারুফ রেজা সাগর নামের ওই দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. শাহিদুর রহমান জানান।
গ্রেপ্তার এড়াতে সোহেল ও সাগর দেশ ছেড়ে পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলে গোয়েন্দা পুলিশের ভাষ্য।
এর আগে শনিবার রাতে সোহেল, টিটু, রবিন ও খাইরুল নামে আরও চারজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ হত্যা মামলার অন্যতম সন্দেহভাজন সুমন শিকদার মুসা গত ১২ মে ওমানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ৩১ জুলাই তাকে দেশে ফিরিয়ে আনে পুলিশ।
তার আগে মুসার ভাই সালেহ শিকদার এবং মতিঝিল থানার ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুকসহ চারজনকে র্যাব গত ২ এপ্রিল গ্রেপ্তার করে।
এছাড়া মাসুম মোহাম্মাদ আকাশ এবং আরফান উল্লাহ দামাল নামে আরও দুজন গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়।
তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুককে হত্যাকাণ্ডের ‘পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে র্যাব।
গত ২৪ মার্চ রাত ১০টার দিকে রাজধানীর শাজাহানপুরে দুর্বৃত্তদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু।
ওই সময় টিপুর গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফনান প্রীতি গুলিতে নিহত হন।টিপুর গাড়িচালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি থানায় মামলা দায়ের করেন। আগামী ৩১ অগাস্ট আদালতে এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ রয়েছে।