২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ০২:০৯:২৭ অপরাহ্ন
রাশিয়ার হয়ে আবারও ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে ‘প্রিগোঝিনের’ ভাগনার
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৯-২০২৩
রাশিয়ার হয়ে আবারও ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে ‘প্রিগোঝিনের’ ভাগনার

রাশিয়ার হয়ে আবারও ইউক্রেনের রণক্ষেত্রে যুদ্ধ করছে দেশটির ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভজেনি প্রিগোঝিনের মৃত্যুর এক মাসের মাথায় এই দাবি করল ইউক্রেন। গতকাল বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিয়েভের শীর্ষ এক সামরিক কর্মকর্তা এই দাবি করেন।


ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান কর্নেল সেরহি শেরেভাতি পলিটিকোকে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের পূর্ব রণাঙ্গনে কয়েক শ ভাগনার সেনাকে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি যুদ্ধ করতে দেখা গেছে।


ভাগনার বাহিনী চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত রাশিয়ার হয়ে ব্যাপক লড়াই করে। তীব্র লড়াইয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে অজেয় থাকা বাখমুত শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। অবশ্য আগে থেকেই বাহিনীটির প্রয়াত প্রধান প্রিগোঝিন বারবার অভিযোগ করে আসছিলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের পর্যাপ্ত গোলাবারুদ সরবরাহ করছে না। সেই অভিযোগ তুলে চলতি বছরের জুনের শেষ দিকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ভাগনার। এমনকি ইউক্রেন থেকে সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়ায় প্রবেশ করে একটি সেনা ঘাঁটিও দখল করে নেয় তারা। 


পরে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ তুলে নেয় ভাগনার এবং বাহিনীর একটি অংশ বেলারুশে চলে যায়। সে সময় প্রিগোঝিনের বেলারুশ চলে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি যাননি বলেই অনুমান করা হয়। পরে আগস্টের ২৩ তারিখে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত প্রিগোঝিন। সেই থেকে ভাগনারের ভবিষ্যৎ নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। এরপর ইউক্রেনের তরফ থেকে এই দাবি করা হলো।


ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর কৌশলগত যোগাযোগ বিভাগের উপপ্রধান সেরহি শেরেভাতি বলেন, ‘ভাগনারের সদস্যরা রণক্ষেত্রে নিজেদের লুকাচ্ছে না। হয়তো তারা ভাবছে, এমনটা করে তারা আমাদের সেনাদের ভয় দেখাবে এবং এ থেকে আরও একটি বিষয় প্রমাণিত হয় যে, তারা আরও রক্তলোলুপ হয়ে উঠেছে।’


ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাগনার বাখমুতেই শেষ হয়ে গেছে। তার পরও বাহিনীটির যেসব সেনা বেশি ভাগ্যবান, তাদের আফ্রিকায় পাঠানো হয়েছে এবং সেখানে টাকার পরিমাণও বেশি। আর তুলনামূলক কম ভাগ্যবানদের আবারও ইউক্রেনে ফেরত পাঠানো হয়েছে।’


শেরেভাতি বলেন, ‘আমাদের যোগাযোগ বিভাগ ও গোয়েন্দা ইউনিট নিশ্চিত করেছে যে, দনবাসের রণক্ষেত্রে আবারও ফিরে এসেছে ভাগনার।’ এ সময় তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘তবে আমরা তাদের বিষয়ে সবকিছুই জানি। তাই না জানিয়ে এসেও লাভ হবে না।’


শেয়ার করুন