২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:৪৯:১১ অপরাহ্ন
রাজশাহী কোর্টের চুরি হওয়া ৬০১ নথি উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ, মামলা সিআইডিতে
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১০-২০২৩
রাজশাহী কোর্টের চুরি হওয়া ৬০১ নথি উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ, মামলা সিআইডিতে

রাজশাহীতে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের তিন সহকারী কৌঁসুলির (এপিপি) মোহরারের বাড়ি থেকে মামলার চুরি হওয়া ৬০১ নথি উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ কাজে ব্যর্থ হয়ে দেড় বছর পর পুলিশ মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে পাঠিয়েছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর সিআইডি নতুন করে মামলাটির তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে গত বছরের ২৪ মার্চ রাতে রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪-এর এপিপি জালাল উদ্দীন, বজলুর রহমান ও সোহেলা আক্তার ডানার মোহরার হোসেন আলীর বাড়ি থেকে মামলার নথিগুলো চুরি হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ মার্চ মোহরার হোসেন আলী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি মামলা করেন। এরপর প্রায় দেড় বছর ধরে পুলিশ তদন্ত করলেও মামলার ক‚লকিনারা করতে পারেনি। পরে পুলিশই মামলাটি সিআইডিকে দিয়েছে।


জানতে চাইলে রাজশাহী নগর পুলিশের (আরএমপি) কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মামলাটি তদন্ত করছিলেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জীবন চন্দ্র বর্মন। দীর্ঘ সময়েও এ ঘটনার রহস্য জানা যায়নি। নথিও উদ্ধার হয়নি। এ কারণে মামলাটি পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনায় সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। সিআইডির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কাজী মোস্তাসিন গত ২০ সেপ্টেম্বর মামলার নথিপত্র বুঝে নিয়েছেন।’


মামলার এজাহার অনুযায়ী, যে ৬০১টি মামলার নথি চুরি হয়েছে সেগুলো জেলার ৮টি থানায় দায়ের হয়েছিল। এরমধ্যে মোহনপুর থানার ৭০টি, বাঘার ৪২টি, দুর্গাপুরের ৬০টি, বাগমারার ৮১টি, পুঠিয়ার ৭২টি, তানোরের ১১২টি, চারঘাটের ৮৩টি ও গোদাগাড়ী থানার ৮১টি মামলার নথি ছিল। এরমধ্যে নিষ্পত্তি হওয়া ১৮৮টি মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথিও ছিল। বাকিগুলো ছিল বিচারাধীন। মামলাগুলোর বেশিরভাগই ছিল মারামারি এবং মাদক সংক্রান্ত। বাড়িতে নির্মাণ কাজ চলছিল বলে নথিগুলো সিঁড়ির পাশে রাখা ছিল তালাবদ্ধ অবস্থায়। চোরের দল সিঁড়িঘরের তালা ভেঙে নথি ছাড়াও লোহার সেলফ ও একটি বাইসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায়। মামলার নথি চুরি হওয়ায় বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে অনেককেই।


জানতে চাইলে ওই আদালতের এপিপি বজলুর রহমান বলেন, ‘মামলাগুলোর একটা কপি আদালতে আছে। তাই মামলা পরিচালনায় কোন সমস্যা হচ্ছে। ওই মামলাগুলোর অনেকগুলোরই ইতোমধ্যে বিচার শেষ হয়েছে। অন্যগুলো চলমান আছে।’ তিনি বলেন, ‘মামলা পরিচালনার স্বার্থেই নথিগুলো এপিপিদের দেওয়া হয়। রাখার স্বার্থে কিংবা সহকারী হিসেবে মোহরারের কাছে নথি থাকে। চুরির ঘটনা কেন, সেটি তদন্তকারী সংস্থাই অনুসন্ধান করবে।’


রাজশাহী সিআইডির পুলিশ সুপার মো. আবদুল জলিল বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তর মামলাটি আমাদের তদন্ত করতে দিয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরমধ্যে আমাদের তদন্ত কর্মকর্তা অসুস্থ হয়ে ছুটিতে আছেন। তিনি আসার পর দ্রæত তদন্ত কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।’


শেয়ার করুন