২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ১২:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প: দক্ষিণে ট্রেনের হুইসেল বাজবে আজ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১০-২০২৩
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প: দক্ষিণে ট্রেনের হুইসেল বাজবে আজ

পদ্মায় লঞ্চের চিরাচরিত হুইসলের সঙ্গে আগেই যুক্ত হয়েছিল বাসের হর্নের শব্দ। এবার এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে ট্রেনের হুইসলও। পদ্মাপারের চার জেলার মানুষ নতুন এই আওয়াজ নিয়মিত শুনতে পাবে আজ মঙ্গলবার থেকে। সঙ্গে থাকবে কু-ঝিক-ঝিক শব্দতরঙ্গ।


 


পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প চালু হচ্ছে আজ। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া রেলস্টেশন থেকে যাত্রী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনে পদ্মা পাড়ি দেবেন। যাবেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত। এর মধ্য দিয়ে এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে।


 


ভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের সমাবেশে অংশ নেবেন শেখ হাসিনা। তবে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হতে আরো দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে রাজশাহী, খুলনা ও বেনাপোলের পথে তিনটি ট্রেন চলাচল করবে। মধুমতি এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচি এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।


 


উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হিসেবে পদ্মা সেতুর মাওয়া স্টেশন প্রান্তে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ১১টায় এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে সুধী সমাবেশে এক হাজার ৬৭৭ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে আমন্ত্রিত যাত্রীদের নিয়ে ভাঙ্গার উদ্দেশে ট্রেনে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী।


 


পদ্মা সেতুর ওপরে বাসসহ অন্যান্য যান চলাচল করে, এর ঠিক নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন। এই রেল সংযোগ প্রকল্পের অধীনে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। এই পুরো পথে থাকবে মোট ২০টি স্টেশন। এর মধ্যে ১৪টি স্টেশন নতুন করে করা হচ্ছে। বাকি ছয়টি স্টেশন আগে থেকেই ছিল। সেগুলোর আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এই রেলপথের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হচ্ছে। পাশাপাশি বিদ্যমান ভাঙ্গা-পাচুরিয়া রাজবাড়ী সেকশনটি পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হবে।


জানতে চাইলে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন কালের কণ্ঠকে বলেন, রেলব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, এই রেলপথ সেই উদ্যোগকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে। এই পথ আন্তর্জাতিক রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গেও যুক্ত হবে। এর মাধ্যমে ট্রান্স-এশিয়ান রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।


শেয়ার করুন