রাজশাহী মহানগরীতে বাসা ভাড়া নেওয়ার কথা বলে ঘরে চুরির অভিযোগে চোরচক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজশাহী মতিহার থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দুর্গাপুর ও চারঘাটে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, রাজশাহী জেলার চারঘাট থানার দৌলতপুর এলাকার মৃত শুকুর আলীর মেয়ে মোসা: আলোকা বেগম (৪৩) ও তাঁর মেয়ে রাজশাহী জেলার দূর্গাপুর থানার বর্ধনপুর এলাকার মো: মিজানুর রহমানেরর স্ত্রী মোছা: মিম খাতুন (২২) এবং মিমের স্বামী মো: মিজানুর রহমান (২৫)।
নগর পুলিশ জানায়, রাজশাহী মহানগরীর মতিহার খানার চৌদ্দপাই এলাকার মোসা: সাথী খাতুন (২৯) একজন গৃহীনি এবং তাঁর স্বামী মো: মাসুদ রানা নান্টু (৩৪) বিদেশে থাকেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে আলোকা ও মিম বাড়ী ভাড়া নেওয়ার জন্য সাথী খাতুনের বাড়িতে যায় এবং অপরজন মিজানুর বাড়ির বাহিরে অপেক্ষা করছিলো।
আলোকা জানায়, মিম তাঁর মেয়ে এবং বাহিরে অবস্থান করা মিজানুর তাঁর মেয়ের জামাই। মিজানুর পুলিশে চাকরি করে বলে মিথ্যা পরিচয় দেয়। বাড়িটি তাদের পছন্দ হয়েছে বলে সাথীকে জানায় এবং ঘরটি দ্রুত পরিস্কার করতে বলে। ঘর পরিস্কার করা হলে সাথীকে গোসল করতে যেতে বলে। সাথী গোসল করতে গেলে সেই সুযোগে তারা তাঁর ঘর ঢুকে শোকেসের ভিতরে থাকা ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ৫৬ হাজার ২৫০ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে নিয়ে যায়। সাথী খাতুনের উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মতিহার থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়।
মামলা দায়েরের পর আরএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিহার) মধুসুদন রায়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো: একরামুল হক, পিপিএম-এর নেতৃত্বে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রহুল আমিন, এসআই মো: পলাশ আলী ও তাঁর টিম চুরি হওয়া টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারসহ আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেন।
মতিহার থানা পুলিশের ওই দল আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় হোজা অনন্তপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামি মিম ও তাঁর স্বামী মিজানুরকে গ্রেফতার করে। মিমের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর আসামি তাঁর মা আলোকাকে চারঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় বালুদিয়া এলাকায় তাঁর বোনের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাঁরা পেশাদার চোর ও চোর দলের সক্রিয় সদস্য। তাঁরা রাজশাহী মহানগরী ও রাজশাহী জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় প্রতারণা করে চুরি করে থাকে।
আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পূর্বেরও চুরির মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।