ভাতিজাকে বাঁচাতে গিয়ে দেবর জয়নাল আবেদীনের হাতে খুন হন ভাবী জাহানারা বেগম (৫৫)। ঘটনাটি ঘটেছে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার নরসিংহপুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে।
এই ঘটনায় নিহতের স্বামী আবু হানিফ বাদী হয়ে ৫ জনের নামে বাগমারা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। হত্যার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বাগমারা থানার মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নরসিংহপুর গ্রামের আবু হানিফ ও জয়নাল আবেদীনের মধ্যে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। ওই বিরোধের জের ধরে গত বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে চাচা জয়নাল আবেদীন ও ভাতিজা মামুনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। ধাক্কাধাক্কি এক পর্যায়ে চাচা ভাতিজার মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হাতাহাতির ঘটনাটি মামুনের মা অর্থাৎ আবু হানিফের স্ত্রী জাহানারা বেগম দেখতে পান এবং মামুনকে উদ্ধারে এগিয়ে যান।
এসময় হামলাকারী জয়নাল আবেদীনসহ তার লোকজন জাহানারা বেগমের উপর হামলা চালিয়ে মারাক্ত জখম করেন।
হামলার ঘটনাটি স্থানীয় লোকজন দেখতে পান এবং ঘটনাস্থলে এগিয়ে যান। এসময় হামলাকারী জয়নাল আদেবীন তার লোকজনকে নিয়ে সেখান থেকে কেটে পড়েন। স্থানীয় লোকজন আহত জাহানারা বেগমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
জাহানারা বেগমের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। চিকিৎসাধীনবস্থায় রাত সাড়ে ৯ টার দিকে জাহানারা বেগম মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন।
হত্যার ঘটনায় রাতেই জাহানারার স্বামী আবু হানিফ বাদী হয়ে ৫জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আবু হানিফ ও জয়নাল আবেদীন আপন ভাই বলে পুলিশ ও এলাকার লোকজন জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বাগমারা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সোহেব খাঁন জানান, হত্যার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।