২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ১০:৫৫:১৮ অপরাহ্ন
গাজায় গোলাবর্ষণ চালু রেখে ইসরায়েলের পানি সরবরাহের ঘোষণা ‘লোক দেখানো’
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-১০-২০২৩
গাজায় গোলাবর্ষণ চালু রেখে ইসরায়েলের পানি সরবরাহের ঘোষণা ‘লোক দেখানো’

চারদিক থেকে অবরুদ্ধ করে গাজায় অনবরত বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করছে ইসরায়েল। ঘর-বাড়িসহ সব ধরনের অবকাঠামো ধ্বংস্তুপে পরিণত হচ্ছে। স্থল সামরিক অভিযানের ঘোষণা দিয়ে গাজার উত্তর থেকে বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার আল্টিমেটাম দিয়েছে। যদিও গাজার কোথাও আর নিরাপদ কোনো জায়গা নেই। কারণ, বিমান হামলা চলছে এবং পানি ও বিদ্যুৎসহ পরিবেষা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

এর মধ্য আজ সোমবার ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজায় পানি সরবরাহ আবার চালুর ঘোষণা দিয়েছে বলে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে এই ঘোষণাকে ‘লোক দেখানো’ হিসেবে বর্ণনা করছেন ফিলিস্তিনিরা। কারণ, ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে বহু পানির পাইপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া বিদ্যুৎ না থাকায় পাম্প চালু করে ট্যাংকে পানি তোলা সম্ভব হবে না।


এযাবত যা যা ঘটল

• ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের সহায়তায় থাকা জাতিসংঘ সংস্থা বলছে, ইসরায়েলের হামলার প্রথম সাত দিনে আনুমানিক ১০ লাখ গাজাবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা ছিটমহলের পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলছে মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো।


• অনবরত গোলাবর্ষণের মধ্যে সামরিক শক্তি বৃদ্ধি অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল; গাজার সীমান্তের কাঁটাতারের পাশে ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান মোতায়েন করেছে।


• ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২ হাজার ৬৭০ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এদের এক চতুর্থাংশই শিশু। আর হামাসের সামরিক অভিযানে ২৮৬ জন সৈন্যসহ নিহত ইসরায়েলির সংখ্যা ১ হাজার ৪০০।


• সংঘাত বাড়তে থাকলে ‘ব্যাপক ক্ষতি’ হবে বলে ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, তেহরান আর বসে বসে যুদ্ধ দেখবে না।


শেয়ার করুন