২২ নভেম্বর ২০২৪, শুক্রবার, ০২:১২:৪২ পূর্বাহ্ন
দেশে ফাইভজি ইকোসিস্টেমের বিস্তৃতিতে কাজ করবে অপো
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৬-২০২২
দেশে ফাইভজি ইকোসিস্টেমের বিস্তৃতিতে কাজ করবে অপো

বাংলাদেশে ফাইভজি ইকোসিস্টেমের বিস্তৃতিতে কাজ করবে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্ট ডিভাইস নির্মাতা অপো। সম্প্রতি দেশের বাজারে বুয়েট-পরীক্ষিত এফ২১ প্রো ফাইভজি স্মার্টফোন উন্মোচন করেছে ব্র্যান্ডটি।

বিগত বছরগুলোতে দেশের স্মার্টফোন বাজারের অভূতপূর্ব প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। ব্যতিক্রমী কাস্টমাইজেশন ও উচ্চ মানের পণ্যের জন্য স্মার্টফোন বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যদিও ফাইভজি’র ব্যবহার এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে নির্দ্বিধায় বলা যায় যে নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সাথে এ প্রযুক্তিও নতুন সব সম্ভাবনা উন্মোচন করবে। এ খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানসমূহ ফাইভজি ইকোসিস্টেমের সাথে নিজেদের খাপ খাওয়ানোর সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গ্রহণ করছে এবং পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক স্থাপন ত্বরান্বিত করতে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

এগিয়ে যান অপো এফ২১ প্রো ফাইভজি’র সাথে
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্ট ডিভাইস নির্মাতা এবং উদ্ভাবক অপো বাংলাদেশে ফাইভজির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। ব্র্যান্ডটি ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে এর গবেষণা সক্ষমতা এবং অংশীদারত্ব সংশ্লিষ্ট অভিজ্ঞতা প্রদর্শন করেছে। ব্র্যান্ডটি অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে দেশের বাজারের জন্য অপো এফ২১ প্রো ফাইভজি কাস্টোমাইজ করেছে এবং বিভিন্ন ফ্রিকোয়েন্সির ব্যান্ডের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার পাশাপাশি বাংলাদেশের ক্যাটালগে প্রবেশের লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ টেকনোলোজি সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে। মানের ব্যাপারে আপস না করে দেশের গ্রাহক এবং ব্যবহারকারীদের চাহিদা পূরণে তাদের প্রয়োজন অনুসারে পোর্টফোলিও এবং ব্যবসায়িক কৌশল সমৃদ্ধ করেছে ব্র্যান্ডটি। অপো’র লক্ষ্য ভবিষ্যতে শীর্ষস্থানীয় ফাইভজি পণ্য, প্রযুক্তি এবং সেবা দেশের আরও অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

বিশ্বজুড়ে ফাইভজি কানেক্টিভিটি স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে অপো
২০১৯ সালে অপো প্রথম ডিএসএস ডেটা কল পরিচালনার জন্য বৈশ্বিক অংশীদারদের সাথে কাজ করেছে। শীর্ষস্থানীয় এই ব্র্যান্ডটি এরিকসন, কোয়ালকম টেকনোলজিস (কোয়ালকম ইনকর্পোরেটেডের একটি সাবসিডিয়ারি), সুইসকম ও টেলস্ট্রা এর সাথে অংশিদারত্বের মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম ডিএসএস সক্ষমতাবিশিষ্ট ফাইভজি স্মার্টফোন ব্যবহার করে ইন্ডাস্ট্রির প্রথম ডিএসএস (ডাইনামিক স্পেকট্রাম শেয়ারিং) ডেটা কল করতে সক্ষম হয়েছে।

এভাবে, বিশ্বজুড়ে ডিএসএস সাপোর্ট করে এমন প্রথম বৈশ্বিক স্মার্ট ডিভাইস ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে অপো। পরবর্তীতে ২০২০ সালে অপো প্রথম স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে ভারতে ফাইভজি হোয়াটসঅ্যাপ কল করতে সক্ষম হয়, হায়দ্রাবাদে এর আর অ্যান্ড ডি কেন্দ্রে প্রথম ফাইভজি কল পরীক্ষা চালনা করে এবং আরও দ্রুত মুভি ডাউনলোড ও ক্লাউড গেমিংয়ের ফিচারগুলো তুলে ধরে।

এছাড়াও, ২০২০ সালে অপো বিশ্বব্যাপী ফাইভজি সিপিই ওমনি চালু করে, যা কিনা উদ্ভাবনী প্রযুক্তি চালিত একটি ফাইভজি স্মার্ট কানেকশন হাব। ২০২০ সালের এপ্রিলে অপো, এরিকসন এবং মিডিয়াটেক নিয়ে আসে ভিওএনআর ভয়েস ও ভিডিও কল, যা উচ্চ মানসম্পন্ন ফাইভজি ফোনের অভিজ্ঞতাকে বাস্তবে পরিণত করার প্রচেষ্টাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ২০২০ সালের মে মাসে, ভোডাফোনের ইউরোপীয় বাজারে অপো’র বিস্তৃত পরিসরের পণ্য নিয়ে আসতে অপো এবং ভোডাফোন একটি অংশীদারত্ব চুক্তি ঘোষণা করে। এছাড়াও, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমিক এক্সচেঞ্জ আরও সমৃদ্ধ করতে এবং ফাইভজি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বিগ ডেটার মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে গ্লোবাল টেকনিক্যাল স্ট্যান্ডার্ডস গঠনে অংশ নিতে আইইইই’র সাথে একটি কৌশলগত অংশীদারত্ব করে অপো।

শক্তিশালী পারফরমেন্স নিশ্চিত করতে ২০২২ সালে অপো বাংলাদেশে নিয়ে আসে অপো এফ২১ প্রো ৫জি। ৬ ন্যানোমিটার প্রসেসরে নির্মিত এফ২১ প্রো ৫জি কোয়ালকম® স্ন্যাপড্রাগন™ ৬৯৫ ৫জি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম দ্বারা চালিত প্রথম ডিভাইসগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই দুর্দান্ত প্রসেসরের মাধ্যমে স্মার্টফোনটি অতুলনীয় পারফরমেন্স প্রদান করে।

নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেটের জন্য এফ২১ প্রো ফাইভজি’তে ৪জি+ নেটওয়ার্ক
অপো এফ২১ প্রো ৫জি’র কোয়ালকম® স্ন্যাপড্রাগন™ ৬৯৫ ফাইভজি মোবাইল প্ল্যাটফর্ম ৬ ন্যানোমিটার চিপসেট অত্যন্ত দ্রুতগতির ফোরজি+ ইন্টারনেট সাপোর্ট করে। এই ফাইভজি ডিভাইসে ৪জি+ একই ব্যান্ডউইথ লোকেশনে একই সিমের মাধ্যমে অন্য যেকোনো স্মার্টফোনের তুলনায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট নিশ্চিত করে।

সিম কার্ড এবং এর অবস্থান ফাইভজি নেটওয়ার্ক সমর্থন করে কিনা, তার ওপর নির্ভর করে ফাইভজি নেটওয়ার্ক সংযোগ। এটি ব্যবহারকারীর অবস্থানে ফাইভজি ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ড এবং ফাইভজি নেটওয়ার্ক আছে কিনা তার ওপরও নির্ভরশীল।

এছাড়াও, ফাইভজি’র অতিরিক্ত শক্তির ব্যবহার প্রায়শই ফোনের তাপ নিঃসরণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত চাপ দেয়। ডিভাইসটি পূর্ববর্তী প্রজন্মের তুলনায় কার্যকরভাবে তাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ফলে, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি উপভোগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না। এছাড়াও, ডিভাইসটির সিপিইউ’তে ‘বিগার’ কোর (আর্ম কর্টেক্স-এ৭৬ থেকে আর্ম কর্টেক্স-এ৭৮) এবং তুলনামূলক উচ্চতর কম্পিউটিং পারফরমেন্স প্রদানের সক্ষমতা রয়েছে।

এফ২১ প্রো ফাইভজি’র সাথে দ্রুতগতির পারফরমেন্স
এফ২১ প্রো ফাইভজি’তে রয়েছে ‘ভিওএলটিই’, যার মানে হচ্ছে ভয়েস ওভার এলটিই। এই প্রযুক্তির সাহায্যে ভয়েসের মানে কোনো প্রভাব না ফেলে ভিওএলটিই সমর্থিত নেটওয়ার্কে ভয়েস এবং ডেটা পাঠানো যায়।

এসব ছাড়াও, আল্ট্রা-থিন ফ্ল্যাট এজ রেট্রো ডিজাইনের এই শক্তিশালী ডিভাইসটি রেইনবো স্পেকট্রাম এবং কসমিক ব্ল্যাক দু’টি ভিন্ন রঙে পাওয়া যাচ্ছে। স্প্লাইসড গ্লস ও ম্যাট টেক্সচারের এই আকর্ষণীয় ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে অপো’র ডুয়াল অরবিট লাইট। প্রাইমারি ক্যামেরা দুটির পেছনে লুকানো রয়েছে দুটি রিং। ৬৪ মেগা পিক্সেল যুক্ত উচ্চ রেজ্যুলুশনের মেইন ক্যামেরা, ২ মেগা পিক্সেল ম্যাক্রো ক্যামেরা, ২ মেগা পিক্সেল ডেপথ ক্যামেরা ও ১৬ মেগা পিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরার অসাধারণ ক্যামেরা সেট আপ রয়েছে ফোনটির। পাশাপাশি রয়েছে চমৎকার সব ইমেজিং ফিচার, যেমন—বোকেহ ফ্লেয়ার পোর্ট্রেট, সেলফি এইচডিআর, এআই প্যালেটস, এআই কালার পোর্ট্রেট, পোর্ট্রেট রিটাচিং এবং আরও অনেক কিছু। কনটেন্ট উপভোগের অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদানে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৬০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটযুক্ত ৬.৪ ইঞ্চির পাঞ্চ হোল অ্যামোলেড এফএইচডি+ ডিসপ্লে।

দীর্ঘক্ষণ ব্যাটারি নিশ্চিত করতে এতে রয়েছে ৪,৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার বিশাল ব্যাটারি ও ৩৩ ওয়াট সুপারভিওওসি ফ্ল্যাশ চার্জিং সুবিধা। ডিভাইসটি ৮ জিবি র‍্যাম এবং ১২৮ জিবি রমের (১ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ বাড়ানো যায়) ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে। এর সাথে রয়েছে অপো’র র‍্যাম এক্সপানশান প্রযুক্তি, যার ফলে স্মার্টফোনটির মূল ৮ জিবি র‍্যামকে আরও ৫ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। এছাড়া, কালকারওএস ১২ থাকায় এয়ার জেসচার, এআই সিস্টেম বুস্টার, কুইক স্টার্টআপ, গেম ফোকাস মোড এবং এআই ফ্রেম রেট স্টেবিলাইজার সহ বেশ কয়েকটি ফাংশন ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।

শেয়ার করুন