জালিয়াতির ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অন্যের জমি আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গাজীপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মোল্লা ও তার স্ত্রী রেনুয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী সোহাগ ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১৭.৫ শতাংশ জমি আত্মসাতের অপরাধ আমলে নিয়ে গাজীপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মোল্লা ও তার স্ত্রী রেনুয়ারা বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা তাদের ০.৫ শতাংশ জমিকে ৫ শতাংশ জমির মালিক দেখিয়ে বাদী শ্রী সরবা চন্দ্র বর্মনের ১৭.৫ শতাংশ জমি প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আসামিদের সঙ্গে ঢাকায় বসবাসের সুবাদে রাজধানীর পীর ইয়েমেনী মার্কেটে বসে বাদী শ্রী সরবা চন্দ্র বর্মনের সঙ্গে একটি এওয়াজ পরিবর্তন দলিলের মৌখিক চুক্তি হয়। এওয়াজকৃত জমি বাদী সরবা চন্দ্র বর্মন কাছে দখল বুঝিয়ে না আসামিরা তাদের ১৭.৫ শতাংশ জমি দলিল করে নেন। আসামিরা বাদী সরবা চন্দ্র বর্মনার জমি প্রতারণা করে অন্যের কাছে বিক্রয় করে দেন। মামলার বাদী বার বার আসামিদের কাছে তার পাওনা জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তাগিদ দিলে তা এখনও বুঝিয়ে দেননি। সর্বশেষ গত বছরের ২৬ এপ্রিল আসামিরা বাদীর বাসায় আপস মীমাংসার জন্য বসেন। ওই আপস মীমাংসার আসামি মতিউর রহমান বাদীকে জানিয়ে দেন যে, এই জমি সে কখনো ফেরত দেবে না।
এ ঘটনায় গত বছরের ২ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সুধাংশু চন্দ্র বর্মন। ওইদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআইকে) তদন্তের নির্দেশ দেন। সম্প্রতি মামলাটি তদন্ত করে পিবিআই আসামিদের অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত এই প্রতিবেদন আমলে গ্রহণ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
