দেশে জনশুমারির মূল কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা হতে দেশে ভাসমান মানুষ গণনার মাধ্যমে এই কাজ শুরু হয়েছে। আজ ১৫ মে আনুষ্ঠানিকভাবে শুমারির কাজ শুরু হবে। ২১ জুন পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শুমারির কাজ চলবে। সারা দেশে জনশুমারি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম। জনশুমারির প্রকল্প পরিচালক দিলদার হোসেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সারা দেশে একযোগে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন গণনাকারী ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করবেন। তাদের পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। যারা যে এলাকায় তথ্য সংগ্রহ করবেন তাদের সংশ্লিষ্ট থানাতে পরিচয় সম্বলিত তথ্য প্রেরণ করা হয়েছে। যদি কেউ তথ্য সংগ্রহকারীদের পরিচয় যাচাই করতে চান তারা থানা থেকে সেটি করতে পারবেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথম বারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে। ডাটা এনক্রিপটেড থাকার কারণে কেউ এ তথ্য চুরি বা হ্যাক করতে পারবে না। এসব তথ্য নিরাপদ থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট তথ্য টিয়ার ফোর ডাটা সেন্টারে সুরক্ষিত থাকবে। শুমারিতে প্রতিটি খানার ধরন, পরিবারের সদস্যদের সংখ্যা, তাদের বয়স, কাজের ধরন, বৈবাহিক অবস্থা, ধর্ম, শিক্ষা, মোবাইল ব্যবহার এসব সাধারণ ৩৫টি প্রশ্ন করা হবে। প্রতি ১০ বছর পর পর দেশে আদম শুমারি করা হতো। এবার এই নাম পরিবর্তন করে জনশুমারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই সাত দিনের মধ্যেও যদি কোনো পরিবার গণনার বাইরে থাকে সে ক্ষেত্রে প্রতিটি এলাকায় দেওয়া একটি হটলাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এবার দেশে অবস্থানরত বিদেশিরাও গণনার আওতায় আসবেন। নির্বাচনি এলাকায় কাজের ধরন নিয়ে জানতে চাইলে দিলদার হোসেন বলেন, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট এলকায় গণনাকারীরা তথ্য সংগ্রহ করবে। এতে সমস্যা হবে না। তা ছাড়া নির্বাচন হবে এক দিনের জন্য কিন্তু গণনা সাত দিন হওয়ায় নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা এতে সমস্যায় পড়বেন না।
তথ্য সংগ্রহের কাজে ব্যবহৃত ট্যাবের সঙ্গে ভৌগোলিক তথ্যবিজ্ঞান (জিআইএস) ব্যবস্থার সংযোগ থাকবে তাই একজন গণনাকারী চাইলেই তার এলাকার বাইরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে না। এছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করার মাধ্যমে খুব দ্রুত তিন মাসের মধ্যে এর প্রাথমিক ফলাফল জানানো সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।