রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বরে নকল কীটনাশক আটক করা হয়েছে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে কীটনাশক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা করা ও নকল কীটনাশক বিক্রয়ের অপরাধে দোষী ব্যবসায়ীকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে।
জানা গেছে, পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর চাউলহাটা গলির মেরি কীটনাশক ও বীজ ভান্ডারের প্রোঃ জামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে লাইসেন্স না নিয়ে নকল কীটনাশক বিক্রয় করে আসছে। এমন খবর পেয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন দোকানটিতে নজরদারীতে রাখে। এবং গতকাল শনিবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সিনজেনটা কোম্পানির এমিস্টার টপ, রোভরাল, ভিরতাকো নোইনসহ তার দোকানের প্রায় সকল পণ্যই নকল বা ভেজাল বলে জানা যায়।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দেবাশীষ বসাক পুলিশ ফোর্সসহ ওই দোকানে অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে সিনজেনটা কোম্পানির এমিস্টার টপ, রোভরাল, ভিরতাকো নোইনসহ বিভিন্ন কোম্পানির ভেজাল কীটনাশক জব্দ করা হয়।
নকল কীটনাশক বিক্রির অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ধারা ভ্রাম্যমাণ আদালতে কীটনাশক ব্যবসায়ী জামাল উদ্দিনকে ৫ হাজার টাকা অর্থ জরিমানা করা হয়। ভেজাল পণ্য গুলো জন সম্মুখে ধ্বংস করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার স্মৃতি রানী সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নিভাস সরকারসহ উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতির রানী সরকার বলেন, তার লাইসেন্স নেই তার পরেও সে কীটনাশক বিক্রি করছে। এর আগেও অনেক বার তার কাছ থেকে ভেজাল কীটনাশক জব্দ করা হয়েছে। তারপরেও সে এই নকল কীটনাশক বিক্রি করে আসছে। এই সব নকল কীটনাশক ব্যবহারের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে, এবং কৃষক প্রতারিত হয়। আগামীতে কোন কৃষক যেন নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের সার, বীজ ও কীটনাশক ক্রয় করে প্রতারিত হতে না হয় সেদিকে কৃষি বিভাগ সবসময় মাঠ পর্যায়ে নজরদারি রাখবে।
