২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৭:৪০:০০ পূর্বাহ্ন
পুলিশ কনস্টেবলের ওপর হামলার অভিযোগে জাতীয় যুব গেমসের ১২ খেলোয়াড় আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৩-২০২৩
পুলিশ কনস্টেবলের ওপর হামলার অভিযোগে জাতীয় যুব গেমসের ১২ খেলোয়াড় আটক পুলিশ কনস্টেবলের ওপর হামলার অভিযোগে জাতীয় যুব গেমসের ১২ খেলোয়াড় আটক

পুলিশ কনস্টেবল ও তার স্ত্রীকে মারধরের ঘটনায় জাতীয় যুব গেমসে অংশ নেওয়া ১২ খেলোয়াড়কে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ রাজশাহী থানা। রোববার দুপুরে রাজশাহী রেল স্টেশনে মারধরের এ ঘটনা ঘটেছে। আহত পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়াকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়া রাজশাহী রেলওয়ে থানায় ১৩জন খেলোয়াড়ের নামে মামলা দায়ের করেছেন।


মামলার আসামিরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর পাচানি মাঠ এলাকার আলী আজম (১৯), হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার আকাশ আলী মোহন (২০), একই এলাকার আব্দুল আল জাহিদ (১৬), জিন্নানগর এলাকায় আহসান কবীর (৪৫), নিউ কলোনি এলাকার ফারহানা খন্দকার (১৭), কয়েরদাড়া এলাকার রিমি খানম (১৭), জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট এলাকার খাদিজা খাতুন (১৮), রাজশাহী মহানগরীর বখতিয়ারবাদ মালদা কলোনি এলাকার পাপিয়া সারোয়ার পূর্ণিমা (১৯), ছোচবনগ্রাম উত্তরপাড়ার দিপালী (১৯), বড় বনগ্রাম রায়পাড়া এলাকার সাবরিনা আক্তার (১৯), একই এলাকার জেমি আক্তার (১৪), মহানগরীর শাহ মখদুম থানার মোড় এলাকার বৃষ্টি মণি (১৬) এবং হাজরাপুকুর ডাবতলা এলাকার রমজান (১৯)। এদের মধ্যে রমজান ছাড়া বাকি সকলেই আটক হয়েছেন।



মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সকাল ছয়টার ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজিয়া সুলতানা জয়া তার স্বামী পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়ার সাথে ঢাকা থেকে রাজশাহী উদ্দেশে রওনা দেন। দুপুর সাড়ে ১২টায় ট্রেনটি রাজশাহী স্টেশনে পৌঁছায়। এসময় রাজিয়া সুলতানা এবং তার স্বামী ট্রেন থেকে নামার জন্য দরজার কাছে আসেন। কিন্তু আসামিরা জটলা পাকিয়ে দরজা ঘিরে রেখেছিলেন। রাজিয়া সুলতানা এবং তার স্বামী সেখান থেকে আসামিদের সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু আসামিরা তাদের সাথে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন। এর জের ধরে আসামিরা পুলিশ কনস্টেবল এবং তার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা জয়াকে বেদম মারপিট করেন। তাদের মারপিটে পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়া মুখ, পিঠ এবং অন্ডকোষে আঘাতপ্রাপ্ত হন।


এসময় পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী জয়াকেও মারপিট করা হয়। তবে পুলিশ কনস্টেবল গোলাম কিবরিয়া বেশি আহত হন। তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা ভিন্ন ধরনের বলে জানিয়েছেন আটককৃতরা। রাজশাহী রেলওয়ে থানায় তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। একারণে প্রকৃত ঘটনা কী ঘটেছে- সেটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি।


এ ব্যাপারে পাকশী রলওয়ে জেলা রাজশাহী থানার ওসি গোপাল কুমার জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি একজনকেও আটকের চেষ্টা চলছে। আসামিরা জাতীয় যুব গেমসে অংশ নিয়ে রাজশাহী ফিরছিলেন। কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটলো- তা তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন