উল্লেখ্যযোগ্য কোনো সংঘাত-সহিংসতা ছাড়াই শেষ হয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং দেশের প্রায় দুইশ উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভোটগ্রহণ।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোট শুরু হয়ে শেষ হয় বিকাল ৪টায়। উৎসবমুখর পরিবেশেই স্থানীয় সরকারের এই ধাপের নির্বাচন হয়েছে।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এবং বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণে গতি কিছুটা স্লো ছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা। এছাড়া মেশিন ঠিকমতো কাজ না করায় কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট শুরু হতে দেরি হয়েছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েন ভোটাররা।
কুমিল্লা সিটিতে দু’একটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে শেষ পর্যন্ত ভোট না দিয়েই বাড়ি চলে গেছেন।
এছাড়া ১৭৬টি ইউনিয়ন পরিষদ, পাঁচটি পৌরসভা ও চারটি উপজেলা পরিষদে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে।
এসব এলাকায় ইউপি নির্বাচনে অন্য ধাপের মতো বড় কোনো সংঘাতের খবর পাওযা যায়নি। দু’একটি জায়গায় বিচ্ছিন্ন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কুমিল্লায় হেভিওয়েট তিন প্রার্থীই ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সাবেক মেয়র মনিরুল হক এবং নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
তবে কুমিল্লা সিটিতে কে নগরপিতা হবেন সেটি জানতে আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে।