২৮ এপ্রিল ২০২৪, রবিবার, ১২:১৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
দুর্গাপুর বেড়েছে জ্বর-সর্দির রোগ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর ভীড়
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১১-২০২৩
দুর্গাপুর বেড়েছে জ্বর-সর্দির রোগ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর ভীড়

না শীত, না গরম, এমন আবহাওয়ার কারেণ রাজশাহী দুর্গাপুর উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। গত দুই সপ্তাহ ধরে এমন আবহাওয়া বিরাজ করেছে এ উপজেলায়। বিশেষ করে এ আবহাওয়ার কারনে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলার ব্যথার সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা জন্য ভিড় করছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীরা। যার কারনে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহির্বিভাগে বেড়েছে রোগীর চাপ।


বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ডাক্তাররা রীতিমতো হিমসিম খাচ্ছেন চিকিৎসা সেবা দিতে। চিকিৎসকরা বলছেন গত দুই সপ্তাহ ধরে ঠান্ডা গরমের কারণে বিগত দিনগুলোর চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন জ্বর, সর্দি ও কাশি এধরণের সমস্যার আরোও মাস ব্যাপি চলতে থাকবে। আবহাওয়া পরিবর্তন হলে রোগীর সংখ্যাও অনেক কমে যাবে।


দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহ থেকে বহির্বিভাগে গড়ে ঠান্ডাজনিত জ্বর, সর্দি ও কাশি এধরণের রোগী গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। যা বিগত দিনগুলোর চেয়ে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা অধিকাংশ রোগীরাই জ্বর, সর্দি ও কাশি ও গলা ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন।


এ বিভাগে প্রতিদিনি ৭ থেকে ৮জন চিকিৎসক চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আশা কয়েকজন রোগীর সাথে কথা বলে জানা যায় তারা বিশেষ করে জ্বর, সর্দি ও গলা ব্যাথা জনিত সমস্যার কারনে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন। বিশেষ করে এরোগে বেশি আক্রান্ত শিশু ও বয়স্করা।


ছাড়াও ইনডোরে ভর্তি কৃত রোগির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে প্রতিদিন গড়ে রোগী ভর্তি হচ্ছেন ১০ থেকে ১৫ জন আর অধিকাংশই ঠান্ডাজনিত রোগী।


দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আশা উপজেলার আমগ্রামের আরিফুল ইসলাম বলেন, তিনি গত ৫ দিন ধরে জ্বর,সর্দির সমস্যা নিয়ে ভোকছিলেন। এলাকার পল্লী চিকিৎসকের কাছ থেকে ওষধ খেয়েও জর¡ ভালো হচ্ছিলো না। যার কারণে তিনি এ স্বাস্থ্য কেন্দ্র এসছেন।


উপজেলা হোজা গ্রামের হাওয়া বেগম জানান, তিনি তার ৪ বছরের নাতিকে নিয়ে উপজেরা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। তার নাতি গত তিনদিন ধরে সর্দি-কশিতে ভুগছেন। এমন সমস্যা নিয়ে প্রতিদি ভিড় করছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে রোগী ও স্বজনরা।

ইনডোরে ভর্তিকিত মাড়িয়া গ্রামের মিরা বেগমের সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, কিছুতেই জ্বর নামছিলো না। বাহিরে মেলা ওষধ খাছি কোন কাজ হয়নি। পরে হাসপাতালে এসে ভর্তি হই।


এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মেহেদী হাসান (সোহাগ) বলেন, বিশেষ করে এসময় কালে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথার রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। এর বিশেষ কারণ হলো আবহাওয়া পরিবর্তন। শীতের আগমনে মূলত এ রোগ দেখা দেয়। এতে ভয়ের কোন কারণ নেই। আমরা রোগীকে সচেতন করছি এবং বহির্বিভাগে শেষ পর্যন্ত রোগী থাকা পর্যন্ত প্রয়োজনমত চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি। এ ধরণের রোগীর চাপ আরোও প্রায় মাসব্যাপী থাকতে পারে। আশা করি আবহাওয়া পরিবর্তন হয়েগে রোগীর সংখ্যাটাও কমে যাবে।


শেয়ার করুন