২৯ এপ্রিল ২০২৪, সোমবার, ১২:০৫:০৩ পূর্বাহ্ন
অক্টোবরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-১১-২০২৩
অক্টোবরে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ

অক্টোবর মাসে নতুন করে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ হয়েছে, যা গত বছরের এই সময়ে ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির হার বাড়ার পেছনে আলু ও ডিমের মূল্যবৃদ্ধি দায়ী বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।


সোমবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতি নিয়ে চলতি বছরের অক্টোবর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে মূল্যস্ফীতির এ চিত্র দেখা গেছে।


বিবিএসের তথ্যে দেখা গেছে, গত বছরের অক্টোবর মাসে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ বছরওয়ারী পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে এক লাফে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতির হার হয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ৪ দশমিক ০৬ শতাংশ। অক্টোবর মাসে আলু, মাছ, চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, মাংস, সবজি, মসলা ও তামাকজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে বলে জানিয়েছে বিবিএস।


বিবিএসের হিসাবে, গত আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা গত ১১ বছর ৭ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশে উঠেছিল। এক দশকের মধ্যে গত আগস্ট মাসে হঠাৎ খাদ্যে মূল্যস্ফীতি প্রথমবারের মতো দুই অঙ্কের ঘরে উঠে যায়।


অথচ চলতি ২০২৩ ২৪ অর্থবছরে সরকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে গড় মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশের মধ্যে। অক্টোবর মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ, সেপ্টেম্বর মাসে এখাতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশে।


বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এর অর্থ হলো গত বছরের অক্টোবর মাসে যে খাদ্যপণ্য ১০০ টাকায় কেনা গেছে, এবছরের অক্টোবর তা কিনতে হয়েছে ১১২ টাকা ৫৬ পয়সায়। অর্থাৎ মাত্র ১০০ টাকার খাবার কিনতে এক বছরে ১২ টাকা ৫৬ পয়সা বাড়তি খরচ করতে হয়েছে।


খাদ্যখাতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান  বলেন, ‌‘আলু ও ডিম ডিস্টার্ব করেছে। এই কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে একটা ভালো দিক মূল্যস্ফীতি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে না, ধীরে ধীরে বাড়ছে। তারপরও আমরা এটা চাই না।’


কমে মূল্যস্ফীতি কমবে- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আগামী মাসে কৃষকের ঘরে ঘরে আমন ধান উঠবে, তখন মূল্যস্ফীতি কমবে।’


শেয়ার করুন