২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:০১:২৮ অপরাহ্ন
মানি চেঞ্জারে ডলারের সর্বোচ্চ বিক্রিমূল্য ১১৭
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১১-২০২৩
মানি চেঞ্জারে ডলারের সর্বোচ্চ বিক্রিমূল্য ১১৭

মানি চেঞ্জারে ডলারের সর্বোচ্চ ক্রয়মূল্য ১১৫ টাকা ৫০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ বিক্রিমূল্য ১১৭ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কেনার চেয়ে বিক্রির পার্থক্য দেড় টাকার বেশি হবে না। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈঠকে এ দর নির্ধারণ হয়।


ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সে ইচ্ছেমতো প্রণোদনা দিয়ে ডলার কিনেছিল। এতেই গত মঙ্গলবার ডলারের দাম এক লাফে ১২ থেকে ১৪ টাকা


বেড়ে ১২২ থেকে ১২৪ টাকায় উঠেছিল। ব্যাংকের ডলার রেট বৃদ্ধির কারণে খোলাবাজারেও দাম বেড়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার খোলাবাজারে ১২৭ থেকে ১২৮ টাকায় ডলার বেচাকেনা হয়েছিল, যা এ যাবতকালে সর্বোচ্চ। এমন পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার ডলারের দাম ঠিক করে দেওয়া দুই সংগঠন ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি)-এর সঙ্গে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে এ দুই সংগঠনের নির্ধারিত দরের বেশি ডলার বেচাকেনা না করার নির্দেশ দেওয়া হয় ব্যাংকগুলোকে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার বাংলাদেশ মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক।


বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকর বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের পরিচালক মো. সরোয়ার হোসেন এবং বাংলাদেশ মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম ইসমাইল হক ও মহাসচিব হেলাল সিকদার উপস্থিত ছিলেন।


এ বিষয়ে হেলাল সিকদার সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক মৌখিকভাবে একটি নির্দেশনা দিয়েছে। এবিবি ও বাফেদার নির্ধারিত রেটের চেয়ে এক টাকা বেশি দিয়ে ডলার কিনতে পারব। আর বিক্রির ক্ষেত্রে এ দর হবে সর্বোচ্চ দেড় টাকা বেশি।


সংশ্লিষ্টরা জানান, এভাবে দর বেঁধে দিলে মানি চেঞ্জারগুলো ডলার পাবে না। কারণ যে দরে কিনতে বলা হয়, সে দরে ডলার বাজারে পাওয়াও যায় না। আর ব্যাংকও এ দামে ডলার বিক্রি করে না। তাই এভাবে বেঁধে দিলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।


এদিকে গতকাল বিদেশি এক্সেচেঞ্জ হাউসের প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও বৈঠক করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোকে ব্যাংকের কাছে রেমিট্যান্স বিক্রির ক্ষেত্রে এবিবি ও বাফেদার রেট মেনে চলতে বলা হয়।


শেয়ার করুন