২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০২:২৫:৪৪ অপরাহ্ন
ভোট আয়োজনে আত্মবিশ্বাসী ইসি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১১-২০২৩
ভোট আয়োজনে আত্মবিশ্বাসী ইসি

ভোটের তিন-চার দিন আগে যাবে ব্যালট, প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, সরকারি কর্মকর্তাদের বদলি-নিয়োগে ইসির অনুমোদন লাগবে, কঠোর নিরাপত্তায় কমিশন 


বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে আত্মবিশ্বাসী নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী এলাকায় সংঘাত-সহিংসতা এড়াতে দফায় দফায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বসছে ইসি। পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে নির্বাচনের পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ১৫ দিন মাঠে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। মনোনয়নপত্র দাখিলে বাধা, নির্বাচনে পেশিশক্তির নিয়ন্ত্রণে কমিশন অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা নিয়েছে। ভোট কেন্দ্র খুঁজে পাওয়ার ভোগান্তি লাগবে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। এবারে স্মার্টফোনের মাধ্যমে কেন্দ্রে ও কেন্দ্রের পোলিং সম্পর্কিত তথ্য ভোটাররা জানতে পারবেন। এ জন্য ডিজিটাল অ্যাপস চালু করেছে কমিশন। ইসি বলেছে, শান্তিপূর্ণ ভোটের জন্য কমিশন বিভাগীয় ও জেলা সফর করবে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে নির্বাচন কশিমন সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের আত্মবিশ্বাস রয়েছে যে সব অংশীজনের সহযোগিতায় ভোট সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর হবে। ইতোমধ্যেই বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের তাঁদের দায়িত্ব ও করণীয় সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে এবং এ জন্য ভিন্ন ভিন্ন পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে। অচিরেই মাননীয় কমিশনারদের বিভাগ, জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বৈঠক, সম্ভাব্য প্রার্থী, রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করার পরিকল্পনা রয়েছে। ‘সব দলের প্রতি আহ্বান থাকবে মতভেদ, মতানৈক্য নিরসন করে নির্বাচনে এসে ভোটারদের কাক্সিক্ষত প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে উৎসাহিত করুন’ সম্মানিত ভোটারদের প্রত্যাশাপূরণে সর্বদাই গুরুত্ব দিয়ে আসছে এ কমিশন এবং একটা সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সর্বাত্মক সবকিছুই করব ইনশা আল্লাহ। এদিকে সংসদ নির্বাচনের তিন-চার দিন আগেই জেলায় জেলায় ব্যালট পেপার পৌঁছে দেবে নির্বাচন কমিশন। তবে সেই ব্যালট পেপার ভোট কেন্দ্রে ভোটের আগের রাতে, নাকি ভোটের দিন সকালে যাবে সেই বিষয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। এ ছাড়া নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দে আগে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ করেছে কমিশন। অন্যদিকে তফসিল ঘোষণা হওয়ায় এখন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির অনুমোদন নিতে হবে। সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হতে স্থানীয় সরকারের মেয়র বা চেয়ারম্যানকে আগে পদত্যাগ করতে হবে। ভোট পর্যবেক্ষণে দেশি সংস্থার আবেদন ২৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করেছে ইসি। নির্বাচনে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটারপ্রতি ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করে দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এই ব্যয়সীমা ঠিক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় সংসদ নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, একজন প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয় সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা। নির্বাচন ভবনে গতকাল নির্বাচন কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, ভোটের তিন-চার দিন আগেই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের ব্যালট পেপার জেলা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পর ব্যালট পেপার ছাপানোর কাজ শুরু করবেন তারা। ব্যালট পেপার জেলা পর্যায়ে চলে যাবে নির্বাচনের তিন-চার দিন আগে। ভোট কেন্দ্রে কখন পাঠানো হবে এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তফসিল ঘোষণা হওয়ায় এখন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে ইসির অনুমোদন নিতে হবে বলে জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রার্থী হতে স্থানীয় সরকারের মেয়র বা চেয়ারম্যানকে আগে পদত্যাগ করতে হবে। পদত্যাগ কার কাছে করবেন, সেটা আইনে বলা আছে। তিনি বলেন, ‘আগাম প্রচারণা বিষয়ে আমরা আন্তমন্ত্রণালয় সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি, তারা তাদের মতো করে উদ্যোগ নেবেন।’


শেয়ার করুন