কাতারের মধ্যস্থতায় শুরু হওয়া যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কথা আজ বৃহস্পতিবার। ঠিক তার আগে ষষ্ঠ দফায় আরও ১৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। মুক্তি পাওয়াদের মধ্যে হামাস ১০ জন ইসরায়েলি ও চারজন থাই নাগরিক। এর আগে হামাস দুই রুশ নাগরিককেও ছেড়ে দেয়। বিপরীতে ইসরায়েলও ৩০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
হামাসের তরফ থেকে ষষ্ঠ দফায় আরও কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকারী কাতার জানিয়েছে, যে ১০ জন ইসরায়েলিকে ছাড়া হয়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন জার্মানিরও নাগরিক। একজন ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। একজন ইসরায়েলের পাশাপাশি ডাচ নাগরিক।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় জানিয়েছে, ‘১০ জন ইসরায়েলি ও চারজন থাই নাগরিক ইসরায়েলে প্রবেশ করেছেন। তাঁদের পরিবারকে এ কথা জানানো হয়েছে।’ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী বলেছে, ‘রেডক্রস এই ১৪ জনকে ইসরায়েলে পৌঁছে দিয়েছে। প্রথমে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং তারপর ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।’
এদিকে, ডাচ-ইসরায়েলি তরুণ জিম্মির মুক্তিতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুট। তিনি বলেছেন, ‘এই ইসরায়েলি-ডাচ নাগরিকের বয়স ১৮ বছর। ভয়ংকর অভিজ্ঞতার পর তিনি পরিবারের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন। এটা খুবই আনন্দের ও স্বস্তির বিষয়।’ মার্ক রুট বলেছেন, ‘বাকি জিম্মিদের দ্রুত মুক্তি দেওয়াও জরুরি।’
অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আজ বৃহস্পতিবার তেল আবিবে পৌঁছেছেন। সেখানে তিনি ইসরায়েলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘যুদ্ধবিরতির মেয়াদ যাতে বাড়ে, তিনি সেই চেষ্টা করবেন।’ গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল-হামাস লড়াই শুরুর পর এ নিয়ে তৃতীয়বার ইসরায়েলে গেলেন ব্লিঙ্কেন।