২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৬:৫৯:১৪ অপরাহ্ন
হরিরামপুরে পেঁয়াজ চুরির ভয়ে খেত পাহারা দিচ্ছে কৃষক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১২-২০২৩
হরিরামপুরে পেঁয়াজ চুরির ভয়ে খেত পাহারা দিচ্ছে কৃষক

সপ্তাহের ব্যবধানে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৬০-৭০ টাকা কমে ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দামটা এখনো অনেক চড়া। কৃষকদের অভিযোগ দাম বেশি হওয়ায় খেত থেকে পেঁয়াজ চুরি যাচ্ছে। চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পেঁয়াজের খেত পাহারা দিচ্ছেন কোনো কোনো কৃষক।


স্থানীয় কৃষকেরা জানান, উপজেলার বাল্লা, চালা, গালা, গোপীনাথপুর, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে আগাম জাতের পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। ১৫-৩০ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ তোলার উপযোগী হয়ে উঠবে। পেঁয়াজের দাম বেশি থাকার কারণে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে পেঁয়াজ খেত থেকে পেঁয়াজ চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরি ঠেকাতে রাত জেগে খেত পাহারা দিচ্ছেন কয়েক জন কৃষক। খেতের পাশে ছোট ছোট অস্থায়ী টং ঘরের মতো তুলে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত সেখানেই রাত কাটান। আবার কেউ কেউ চুরির দুশ্চিন্তায় অপরিপক্ব পেঁয়াজ তুলছেন খেত থেকে।


বাহিরচর এলাকার কৃষক আব্দুল মালেক বলেন, ৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছি। পেঁয়াজ আবাদে এবার খরচ বেশি। দাম ভালো থাকায় লাভ হওয়ার কথা। কিন্তু ৫ বিঘা জমির মধ্যে ২-৩ শতাংশ জমির পেঁয়াজ চুরি হয়ে গেছে। তোলার উপযোগী না হলেও চুরির ভয়ে অপরিপক্ব অবস্থায় পেঁয়াজ তুলছি।


বাহিরচর গ্রামের অপর কৃষক মঙ্গল দা জানান, কয়েক দিন আগে তাঁর খেতের পাশের জমি থেকে এক কৃষকের অনেক পেঁয়াজ চুরি হয়েছে। এরপর থেকেই তিনি রাত জেগে খেত পাহারা দিচ্ছেন। এখন পেঁয়াজের আকার বড় হলেও তোলার উপযোগী হয়নি। চোরের ভয়ে এখনই পেঁয়াজ তোলা হচ্ছে। সঠিক সময়ে তুলতে পারলে ৪২ শতাংশ জমিতে ৭০-৮০ মণ পেঁয়াজ হতো। কিন্তু চুরির ভয়ে আগে ওঠানোর কারণে ৩৫-৪০ মণ পেঁয়াজ হবে।


একই গ্রামের কৃষক মো. হারুনুর রশিদ জানান, কয়েকটি খেত মিলিয়ে ৪০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। তবে চার শতাংশের একটি জমির এক শতাংশের পেঁয়াজ চুরি হয়েছে।


রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন বলেন, ওয়ার্ড সদস্য বিষয়টি জানিয়েছেন। পাহারা চলমান রয়েছে। পরে আর চুরি হয়নি।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. তৌহিদুজ্জামান খান বলেন, এ অঞ্চলের জমি পেঁয়াজ চাষের জন্য খুবই উপযোগী। উপজেলায় বাল্লা ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। এ বছর উপজেলায় ৮৫০ হেক্টর জমিতে কন্দ পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। 


এ বিষয়ে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ নুর এ আলম জানান, কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন