২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ০৮:৩১:২২ অপরাহ্ন
শোক দিবসের বক্তব্য: দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৮-২০২৩
শোক দিবসের বক্তব্য: দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় দুই বিচারপতির বক্তব্যে শপথ ভঙ্গ হয়েছে বলে অভিযোগ করে তাদেরকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখার জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি জানিয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।  


আজ রোববার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায়। দুই বিচারপতিকে বিচারকাজ থেকে বিরত না রাখার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছে সংগঠনটি। 


সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, গত ১৫ আগস্টে কয়েকজন বিচারপতির বক্তব্য বিচারপতি হিসেবে নেওয়া শপথের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সাধারণত কোনো রাজনৈতিক কর্মী যে ভাষায় তাঁর দলীয় বক্তব্য প্রদান করেন, অনেক বিচারপতির বক্তব্যে তেমন রাজনীতিবিদের বক্তব্যের প্রতিফলন আমরা লক্ষ্য করেছি। তাদের এই বক্তব্য কোনো বিচারেই বিচারক সুলভ নয়। যারা মানসিকভাবে নিজেদের রাজনীতিবিদ বলে বিবেচনা করেন সেসব বিচারকদের মাধ্যমে অতীতে কতটুকু ন্যায়বিচার সম্পন্ন হয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। ভবিষ্যতেও তারা বিচারিক কার্য পরিচালনা করলে কি ধরনের বিচার করবেন তা বলাই বাহুল্য। এ ক্ষেত্রে আমরা মনে করি, বিচার বিভাগের প্রধান হিসাবে প্রধান বিচারপতি মুখ্য ভূমিকা পালন করতে পারেন।


ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার সঙ্গে তৎকালীন আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ একত্রে বিচার কাজ পরিচালনায় অপারগতা প্রকাশ করেছিলেন। যার প্রেক্ষিতে বর্তমান বিনা ভোটের সরকারের রোষানলে পড়ে বিচারপতি সিনহা দেশত্যাগ ও পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। আমরা মনে করি, আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতি যেহেতু শপথ ভঙ্গের মাধ্যমে বিচার কাজ পরিচালনার আইনি ও নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন, তাই প্রধান বিচারপতির স্ব-উদ্যোগে তাদেরকে বিচারিক কাজ থেকে বিরত রাখতে পারেন। বর্তমানে কথিত ‘অজানা’ অভিযোগে হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারপতিকে বিচারকার্য থেকে প্রায় পাঁচ বছরের অধিক সময় বিরত রাখা হয়েছে।


এদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কর্মসূচি পালন নিয়ে বারের নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে কায়সার কামাল বলেন, এখন বারের নির্বাচিত কোনো কমিটি নেই। বারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি আহ্বায়ক কমিটি আছে। এখন যারা জোর করে বসে আছে তারা ডাকাতি করে বসে আছে। তবে এই বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য দুঃখজনক। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করছি। আমরা বলতে চাই তিনি প্রথম ব্যক্তি যিনি সর্বপ্রথম সুপ্রিম কোর্টের ইমেজ নষ্ট করেছেন।’ বারের সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু মারা যাওয়ার পর তিনি (অ্যাটর্নি জেনারেল এএমআমিন উদ্দিন) জোর-জবরদস্তি করে সভাপতির পদ দখল করেছিলেন। সুতরাং তাঁর মুখে এসব কথা মানায় না।’


এ সময় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজলসহ বিএনপিপন্থী শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। 


শেয়ার করুন