দেশের মধ্যবিত্তরা দারিদ্র্যসীমায় আর নেই বলে মন্তব্য করেছেন সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সভাপতি ও অর্থনীতিবিদ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেছেন, সংঘবদ্ধ দুর্নীতি চক্র উন্নয়নের সুফল খেয়ে ফেলছে।
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে (আইডিইবি) এক গোলটেবিল আলোচনায় কাজী খলীকুজ্জমান এসব কথা বলেন। আজ শনিবার সকালে ‘বাংলাদেশের আর্থসামাজিক পথপরিক্রমণ: আসন্ন নির্বাচনের এপারে এবং ওপারে’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ।
আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে কাজী খলীকুজ্জমান বলেন, গত ১৫ বছরে সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশের অর্থনীতি, মাথাপিছু আয়, নারীর ক্ষমতায়ন, মানব উন্নয়ন সূচক, শিক্ষার হার, গড় আয়ু বেড়েছে। দারিদ্র্যের হার ও লিঙ্গবৈষম্য হ্রাস পেয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী জোরদার হয়েছে, মাতৃমৃত্যু হার হ্রাসে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রে দুষ্টচক্র নির্মূল করতে না পারায় জনমনে প্রত্যাশিত স্বস্তি আসেনি।
ডলারের বিনিময়হার বেড়ে যাওয়া, ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ, পুঁজিবাজারে কারসাজি, অর্থ পাচার ইত্যাদি ক্ষেত্রে দুষ্টচক্রের দৌরাত্ম্য রয়েছে বলে মনে করেন কাজী খলীকুজ্জমান। তাঁর মতে, সরকারের নীতি ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের স্বার্থে যেকোনো মূল্যেই এই দুষ্টচক্রের দৌরাত্ম্য ভাঙতে হবে।
সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সহসভাপতি ও আইডিইবির সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ জায়েত বখত, তৌফিক আহমেদ চৌধুরী, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, উম্মে হাসান জলমল, রেজাউল করিম, অধ্যাপক মাহবুব, জাহাঙ্গীর আলম, কাশেম হুমায়ুন, সুভাশীষ পাল, সাদিয়া আফরীন, আরিফ আহমেদ, সুনীল মজুমদার প্রমুখ।
গোলটেবিলে বক্তারা বলেন, আগামী নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দল নিশ্চিত বিজয়ী হবে। নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখনো সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু এ জন্য সন্তুষ্টি রাখলে চলবে না। রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) আহরণ ও রপ্তানি বহুমুখীকরণে মনোযোগ বাড়াতে হবে। সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।