২১ নভেম্বর ২০২৪, বৃহস্পতিবার, ১১:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: নগরবাসীর জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ও গতি আনুক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৯-২০২৩
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে: নগরবাসীর জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ও গতি আনুক

দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আজ। এ ধাপে চালু হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকার কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত সাড়ে ১১ কিলোমিটার দূরত্বের পথটি। কাওলা প্রান্তে ফলক উন্মোচনের মধ্য দিয়ে এর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে রাজধানীর একটি অংশে যানজট এড়িয়ে চলাচলের পথ উন্মুক্ত হবে।


আশা করা হচ্ছে, কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত মাত্র ১২ মিনিটে পৌঁছতে পারবেন নগরবাসী। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দূরত্বের পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে যানজট এড়িয়ে নগরবাসী সহজেই ঢাকার বাইরে যাতায়াত করতে পারবেন। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উপর দিয়ে চলাচল করতে পারবে শুধু চার চাকার গাড়ি। এ জন্য এসব গাড়িকে টোল দিতে হবে।


মোটরসাইকেল, রিকশা, অটোরিকশা ইত্যাদি বাহনকে চলাচলের সুযোগ না দেওয়ার কারণ হিসাবে বলা হচ্ছে, যেহেতু এক্সপ্রেসওয়ের উপর দিয়ে বিরতিহীনভাবে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলাচল করবে, সেহেতু মিশ্র বাহন চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অর্থাৎ দুর্ঘটনা এড়াতেই নেওয়া হয়েছে এ ব্যবস্থা। তারপরও দুর্ঘটনা এড়াতে এক্সপ্রেসওয়ের উপর গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়া এবং তা নিরবচ্ছিন্নভাবে মনিটর করা উচিত বলে মনে করি আমরা।


বিশ্বের বেশিরভাগ মেগা সিটিতেই দ্রুত চলাচলের সুবিধার্থে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, অতীতে আমাদের নীতিনির্ধারকরা এদিকে দৃষ্টি দেননি। সেদিক থেকে এ ধরনের প্রকল্পের বাস্তবায়নকে নগরবাসী সাধুবাদ জানাবে নিশ্চয়ই। তবে নকশা, অর্থায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জটিলতার কারণে এ এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ দীর্ঘসূত্রতার কবলে পড়ে। এর ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় নগরবাসীকে।


ভবিষ্যতে এ ধরনের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে যাতে এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা প্রয়োজন। রাজধানী ও এর আশপাশ এলাকার যানজট ও গণপরিবহণ সংকটের সমাধানে যেসব প্রকল্পের কাজ চলছে, সেসব প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে রাজধানীবাসীর জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য ও গতি আনবে, এটাই প্রত্যাশা।


শেয়ার করুন